লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ও সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার: প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

নয়াদিল্লি,২২ আগস্ট: মহিলাদের সশস্ত্র বাহিনী ও শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নীতি জোরদার করছে সরকার — শুক্রবার এক বক্তব্যে এ কথা জানান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত মহিলা সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ভারতের অবদান সর্বাধিক, এবং আমরা মহিলাদের অন্তর্ভুক্তিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি।”

তিনি বলেন, ১৫টি দেশের মহিলা সামরিক কর্মকর্তারা জাতিসংঘের ‘মহিলা মিলিটারি অবজারভার্স কোর্স’-এ অংশগ্রহণ করছেন, যা বিশ্বব্যাপী এই প্রচেষ্টার অংশ। এই কোর্সের মাধ্যমে মহিলা অফিসারদের জটিল শান্তিরক্ষা পরিস্থিতিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

রাজনাথ সিং বলেন, “আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও শান্তিরক্ষা বাহিনীতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং নেতৃত্বের সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য নীতিগুলোকে শক্তিশালী করছি।”

তিনি আরও বলেন, “মহিলা অফিসাররা অনুকরণীয়, এবং তাদের উপস্থিতি যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা মানবিক সহায়তার প্রাপ্যতা বাড়ায় ও মাঠপর্যায়ে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করে। তাদের ভূমিকায় স্থানীয় নারীদের জন্য প্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত তৈরি হয়।”

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা “ব্লু হেলমেট” নামে পরিচিত, যা ঐক্য, শান্তি ও সংযোগের প্রতীক। তিনি বলেন, “আকাশের রং নীল আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমরা একই পৃথিবীর বাসিন্দা। যেমন আকাশ আশ্রয় দেয়, তেমনি শান্তিরক্ষীরাও নিরাপত্তা ও ভরসা জোগায়। সমুদ্রের মতো তারা সীমাহীন সংযোগ গড়ে তোলে।”

তিনি বলেন, এই ঐক্যের চেতনার মধ্য দিয়েই মহিলা শান্তিরক্ষীদের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে — তারা বিশ্বাস ও কার্যকারিতায় নতুন মাত্রা যোগ করেন।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “মহিলা অফিসাররা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে — বিশেষত নারী ও শিশুদের সঙ্গে — আরও গভীর বিশ্বাস স্থাপন করতে সক্ষম হন। তারা সমাজ পুনর্গঠনে অনন্য ভূমিকা রাখেন।”