ভোট চুরি ইস্যুতে উদয়পুরে কংগ্রেসের মিছিল ও সভা

আগরতলা, ২২ আগস্ট : শুক্রবার উদয়পুর শহরে গোমতী জেলা কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে এক মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে শুক্রবার বিকেলে গোমতী জেলার সদর মহকুমা উদয়পুর জামতলা কংগ্রেস ভবন থেকে “ভোট চোর, গদি চোর” এই দাবিতে গোমতী জেলা কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে এক মিছিল বের হয়। মিছিলটি সেন্ট্রাল রোড, নিউ টাউন রোড ঘুরে পুনরায় জামতলায় এসে শেষ হয়।

সেখানে গোমতী জেলা কংগ্রেস সভাপতি টিটন পালের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা ও কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।

নেতৃত্বরা অভিযোগ করেন, দেশে বর্তমানে ভোট চোর ও গদি চোর স্লোগান সামনে রেখেই কংগ্রেস আন্দোলনে নেমেছে। ত্রিপুরায় এই কর্মসূচি উদয়পুর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর কৈলাশহরে শেষ হবে। তাঁদের বক্তব্য, দেশ আজ গভীর সংকটে। বিজেপি ভোট চুরি ও গদি চুরি করেই ক্ষমতায় টিকে আছে। ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সারাদেশে নির্বাচনী কারচুপির তথ্য জনসমক্ষে তোলা হচ্ছে।
নেতৃত্বরা নির্বাচন কমিশনের ভূমিকারও সমালোচনা করে বলেন, বিহারে এসআইআর নামে ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, অথচ তাঁদের মধ্যে অনেকেই জীবিত। এই কাজ ধরা পড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে।

সুদীপ রায় বর্মন সভায় সিপিএমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আর দেরি নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে মিলেমিশে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সিপিএমের মন্ত্রীত্বকালে উগ্রপন্থীদের হাতে খুন হলেও কংগ্রেস আন্দোলন করেছে, কিন্তু ক্ষমতার জন্য মাথা নত করেনি—আজও করবে না।

তিনি প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মাকেও কটাক্ষ করে বলেন, তাঁর দল বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিজেপির সমালোচনা করে জানান, দেশে বেকারত্ব চরমে, নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, ওষুধের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভেঙে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, উদয়পুরে শিক্ষক খুনের ঘটনায় অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়েছে, আইনের শাসন নেই।

সুদীপ রায় বর্মন আরও বলেন, রাজ্য নেশায় ডুবে যাচ্ছে। নেশার সঙ্গে যুক্তদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না, কারণ তারা শাসক দলের লোক। বিরোধীদের উপর যারা হামলা চালাচ্ছে তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “এই পথ থেকে সরে আসুন, নইলে আগামী দিনে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে।”

শুক্রবার কংগ্রেসের এই সভাকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে ছিল।