মুখ পুড়িয়ে ইন্দো-বাংলা ত্রিপুরা সীমান্তে আটক বিজিবি জওয়ান বাংলাদেশে ফিরলেন

আগরতলা, ২২ আগস্ট : কার্যত নাকে খত দিয়ে বেআইনীভাবে ভারতের প্রবেশের দায়ে আটক জওয়ানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেল বিজিবি। ভারত-বাংলা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের খাতিরে তাঁকে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। নয়তো, সীমান্তে পাচার বাণিজ্য ও পাচারকারীদের মদতদাতা বিজিবি জওয়ান মহম্মদ সিরাজকে ভারতের জেলের ঘানি টানতে হতো। তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট, নিজ দেশের মুখ পুড়িয়ে ওই বিজিবি জওয়ান বাংলাদেশে ফেরত গেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বিজিবির ৬০ নং ব্যাটেলিয়ানের মাদলা বিওপির জওয়ান মহম্মদ সিরাজ সশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে ইন্দো-বাংলা ত্রিপুরা সীমান্তের জিরো পয়েন্টের প্রায় ১৫০ মিটার ভেতরে প্রবেশ করেন। তাঁকে দেখেই বিএসএফের ৪৯ নং ব্যাটেলিয়ানের কামথানা বিওপি-র জওয়ানরা থামতে নির্দেশ দেন। কিন্তু, ওই বিজিবি জওয়ান বিএসএফের উপস্থিতি ও আদেশ শুনেই বাংলাদেশে পালাতে থাকেন। তবে, বিএসএফ জওয়ানরাও দৌড়ে গিয়ে তাঁকে ভারতের সীমানায় আটক করতে সক্ষম হয়েছেন।

সূত্রের দাবি, সীমান্তে পাচার বাণিজ্য এবং পাচারকারীদের সাহায্যের উদ্দেশ্যেই বিজিবি-র ওই জওয়ান সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। সীমান্তে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সাথেও তাঁর যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু, বিএসএফের কঠোর নজরদারির কারণে তিনি আজ ধরা পড়েছেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মাদলা সীমান্ত এলাকায় পাচার বানিজ্যের স্বর্গ রাজ্য হিসেবেই কুখ্যাতি রয়েছে। প্রায়শই ওই এলাকায় মাদক সামগ্রী উদ্ধার হচ্ছে। গত ৫ মে বিএসএফের গুলিতে এক পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ অপর পাচারকারীকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করানো হয়েছিল।

খবর পেয়েই গতকাল থেকেই বিজিবি জরুরি ভিত্তিতে বিএসএফের সাথে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের তোড়জোড় করেছিল। ওই বিজিবি পাচারকারীদের মদতদাতা, সেই প্রমাণ বিএসএফের কাছে রয়েছে। তবুও, বিজিবি শীর্ষ স্তরের কর্মকর্তাদের অনুনয় বিনয় এবং ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে বিএসএফ তাঁকে দেশে ফেরত পাঠাতে রাজি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে, বিএসএফ এই ঘটনাকে ঘিরে বিজিবিকে কড়া হুশিয়ারী দিয়েছে, ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনা না হোক, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের সম্প্রীতির জন্য সহায়ক হবে।