মণিপুরে নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য গ্রেপ্তার, মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণে মাদক উদ্ধার

ইমফল, 20 আগস্ট : মণিপুরের ইমফল ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য গ্রেপ্তার ও বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। গত ১৯ আগস্ট ইমফল ইস্ট জেলার একটি অভিযানে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (মিলিটারি ফেডারেল লিগ) \কেসিপি (এমএফএল)-এর আত্মঘোষিত কর্পোরাল লৌরেমবাম সুরজ সিংহ (২৬), ওরফে লামজিংবা, কে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পোরমপট থানার অন্তর্গত ওয়াংখেই অঙ্গোম লেইকাই এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত চাঁদাবাজির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

অন্যদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে মণিপুর পুলিশ। ১৯ আগস্ট চূড়াচাঁদপুর জেলার এনএইচ-১০২বি সংলগ্ন পায়োনিয়ার ক্যাম্পের কাছে সিংহাট থানার পুলিশ দুজন সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী, লুঙোসিয়েম এবং এনগামমিনলালকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১.৩ কেজি ব্রাউন সুগার ভর্তি ১১১টি সাবান কেস, একটি ইয়ামাহা এমটি-১৫ বাইক ও একটি মাহিন্দ্রা বোলেরো গাড়ি। এর আগের দিন, ১৮ আগস্ট, ইমফল ওয়েস্ট জেলার সিংজামেই থানার পুলিশ কসেত্রিমায়ুম নাওবা (৩৪)-কে কোডিন ফসফেটের ২৮৮ বোতলসহ গ্রেপ্তার করে। অভিযানে ব্যবহৃত একটি ই-রিকশাও বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এছাড়া, একই দিনে নিরাপত্তা বাহিনী ইমফল ইস্ট জেলার খুরাই হেইক্রু মাখোং এলাকা থেকে কেসিপি (পিডব্লিউজি)-এর এক সক্রিয় সদস্য মোঃ সাতাবুদ্দিন ওরফে জিতেন (৩৩)-কে গ্রেপ্তার করে। রাজ্যজুড়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথভাবে চিরুনি ও এলাকা দখল অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার এনএইচ-৩৭ রুটে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী বহনকারী ৪৬৪টি গাড়ির নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কনভয় মোতায়েন করা হয়েছে যাতে রসদ সরবরাহে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। রাজ্যজুড়ে পাহাড় ও উপত্যকা মিলিয়ে মোট ১১৩টি চেকপোস্ট বা নাকা পয়েন্টে তল্লাশি অভিযান চলছে, যদিও এদিন কোনও গ্রেপ্তার বা আটক ঘটেনি। পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ দমন করতে রাজ্যজুড়ে নজরদারি ও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।