ইমফল ও বিষ্ণুপুরে পুলিশের জোড়া সাফল্য, মণিপুরে চাঁদাবাজ ও মাদক চক্রে জড়িত চার জন গ্রেপ্তার

ইমফল/বিষ্ণুপুর, ১৮ আগস্ট — মণিপুর পুলিশ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইমফল পশ্চিম জেলার ঘারী মাখা লাইকাই এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে কেএসিপি (পিপলস ওয়ার গ্রুপ)–এর এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর জেলায় এনএইচ–০২ সড়ক ধরে চলা একটি বড় মাদক পাচার চক্রের সন্ধান পেয়ে পুলিশ ৩৬৯ গ্রাম হেরোইন সহ তিনজনকে আটক করেছে।

ইমফল পশ্চিম জেলার লমফেল থানার আওতাধীন ঘারী মাখা লাইকাই এলাকায় ১৬ আগস্ট রাতে চালানো একটি নির্দিষ্ট অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ইউমনাম মিলাঞ্জিত মেইতেই (৩৩)–কে। তিনি কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির (পিপলস ওয়ার গ্রুপ) সক্রিয় সদস্য এবং লাইরেনকাবি আওয়াং লাইকাই মামাং লেইরাক এলাকাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে লিপ্ত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে, যা থেকে চাঁদাবাজি চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পদক্ষেপ রাজ্যে চলমান চাঁদাবাজ ও অপরাধ চক্র নির্মূলের লক্ষ্যে পুলিশের গোয়েন্দাভিত্তিক যৌথ তল্লাশি অভিযানের অংশ।

এদিকে, একই দিনে বিষ্ণুপুর জেলার মোইরাং থানার অন্তর্গত তেরাখোংশাংবি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি গাড়ি ও মোবাইল ফোন সহ দুইজনকে হেরোইন সহ আটক করা হয়। ধৃতরা হলেন মোঃ নজেরউদ্দিন ওরফে বাবু ফিশুবাম (৪২) এবং মোঃ আলতাব খান ওরফে বয় মোইজিংমায়ুম (৩১), উভয়েই কোয়াক্তা ওয়ার্ড নং ৮–এর বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে ২২টি সাবান কেসে রাখা মোট ২৫৬ গ্রাম হেরোইন, একটি চারচাকা গাড়ি ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এর কিছুক্ষণ পর, আরও একজন মাদক কারবারি মোঃ আরুব খান ইফাম ওরফে খাঞ্জা (২৬)–কে কোয়াক্তা সাবল লাইকাই এলাকা থেকে ফৌগাকচাও ইখাই থানার আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১০টি সাবান কেসে থাকা ১১৩ গ্রাম হেরোইন, একটি চারচাকা গাড়ি ও একটি মোবাইল ফোন সহ সিম কার্ড।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং গোটা মাদক সরবরাহ চক্রের উত্স ও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত চলছে। রাজ্যে বেড়ে চলা মাদক পাচার ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ রুখতে প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা।