অধ্যক্ষের মস্তিষ্কে ফের রক্তক্ষরণ, উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালুরুতে স্থানান্তর

আগরতলা, ১১ আগস্ট: ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালুরুর হেব্বাল এস্টার সি এম আই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আইএলএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক মেডিকেল বুলেটিনে জানায়, গত ৮ আগষ্ট বিশ্ববন্ধু সেন আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে ভ্রমণের সময় শৌচালয়ে গিয়ে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপরই ৭০ বছর বয়সী শ্রীসেনকে প্রথমে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁর স্ক্যান রির্পোটে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের বিষয়টি ধরা পড়ে। এদিন রাতেই আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। টিএমসি হাসপাতাল থেকে আইএলএসে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসক দল অল্প সময়ের মধ্যে জরুরি মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন। যাতে মস্তিষ্কের উপর জমে থাকা রক্ত অপসারন ও মস্তিষ্কের চার কমানো হয়। পরে তাঁকে সার্জিক্যাল আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয় উন্নত পরবর্তী চিকিৎসার জন্য।

৯ আগস্ট শ্রী সেন ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন এবং তাঁর রক্তচাপ স্থিতিশীল ছিল। গতকাল সকালে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দিল্লির এইমস থেকে দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক—নিউরোলজিস্ট ডা. রাজেশ কুমার সিং ও নিউরোসার্জন ডা. রমেশ শরণাপ্পা দোড্ডামানি—আগরতলা এসেছিলেন। তাঁরা শ্রী সেনের অবস্থা পর্যালোচনা করেন। তাঁরা আইএলএস হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করেছেন। এইমস হাসপাতালের দুজন নিউরোসার্জন শ্রীসেনের প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা যর্থাথ হয়েছে বলে জানান। শুধু তাই নয়, আগরলার টিএমসি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থারও ভূয়সী প্রশাংসা করেছেন তাঁরা।

এদিনের বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে শ্রী সেনের মস্তিষ্কে আবারও রক্তক্ষরণ হয়েছে। যদিও তার অবস্থা এখনও স্থিতিশীল বলে দাবি করেছে আসতেই উদ্বিগ্ন তার পরিবার। তাই তার উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে তার মস্তিষ্কে আবারও রক্তক্ষরণের বিষয়টি প্রকাশ্যে জানিয়েছে, তার পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনার বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইএলএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মাধ্যমে শ্রী সেনকে বহিঃরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছপ। এ লক্ষ্যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।