গোটা দেশে মোদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে, রাজ্যে যেন কোনোভাবেই এসআরআই লাগু না হয় তার জন্যে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে: কংগ্রেস

আগরতলা, ১০ আগস্ট: গোটা দেশে মোদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সুবীর চক্রবর্তী। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে দেশব্যাপী মোদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অবৈধ অনৈতিক কার্যকলাপ সর্বসাধারণের মধ্যে তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে তথ্য সমূহ প্রচারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হয়েছে আজ প্রদেশ কংগ্রেস।

সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস মুখপাত্র সুবীর চক্রবর্তী বলেন, রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই বিজেপির এই কারচুপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ২০১৪ সালের পরবর্তী সময় থেকে দেশের অধিকাংশ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনগুলিতে বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে নানাভাবে কাটচুপি সংগঠিত করে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দিনগুলিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন ভোট প্রদানের যে পরিসংখ্যান জানায় এর ১০ দিন বাদে নির্বাচন কমিশনেই চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে ৮- ৯ শতাংশ ভোট প্রদানের সংখ্যা বেশি দেখায়। এমনকি ওই নির্বাচনে দেখা গেছে ৯-১০ টি আসনে ভোটে অংশগ্রহণকারী সংখ্যার তথ্যের সাথে গণনার হাজার হাজার বেশি ভোটারের অংশ বেরিয়ে আসে। এই সবকটি আসনেই এনডিএ প্রার্থীরা জয়ী হন।

এছাড়াও দেশের প্রতিষ্ঠিত একটি সমীক্ষক সংস্থা নানা সমীক্ষার মাধ্যমে তারা দেখিয়েছেন লোকসভার ৭৯টি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলের সাথে জনমত প্রকৃত প্রতিফলিত হয়নি। এই সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে দেশের ৭২ শতাংশ মানুষই ইএসআই এর উপর একেবারেই আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।

তিনি আরো বলেন, এর আরও নগ্ন নজির প্রকাশিত হচ্ছে এই সময়ে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন কার্যকরী করার নামে দেশের প্রান্তিক অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া দুর্বল অংশের মানুষদের ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়ার যে উদ্যোগ তার মধ্যে।

প্রবীর চক্রবর্তী এসব বলতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন, দেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের ইশারাতেই তাদের কার্যপ্রণালী সজ্জিত করে। দেশের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার স্বার্থে আমাদের রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যাতে কোন বৈধ নাগরিকের নাম ভোটার তালিকা থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদ দিতে না পারে বা তালিকায় কোন অবৈধ নাম অন্তর্ভুক্ত করতে না পারে তার জন্য এখন থেকেই ধারাবাহিকভাবে একেবারে বুথ স্তর থেকে চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট প্রকাশিত করার ক্ষেত্রসহ সর্বত্র কঠোর নজরদারি জারি রাখার সাংগঠনিক উদ্যোগের সাথে সাথে দেশের বিজেপির ও নির্বাচন কমিশনের যে ভোট চুরির বিরুদ্ধে রাজ্যের জনগণ কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন রাখেন প্রবীর চক্রবর্তী।