আগরতলা, ৫ আগস্ট : রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প কার্যকর করা সত্ত্বেও, কিছু চিকিৎসকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় তলানিতে পৌঁছেছে চিকিৎসা পরিকাঠামো এমনই অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার মুঙ্গিয়াকামি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে যান উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী তথা ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিকাশ দেববর্মা। পরিদর্শনকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি ২৯ কৃষ্ণপুর মন্ডলের সহ-সভাপতি গোপাল দাস।
পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা অভিযোগের সত্যতা পান যে, বহু সময় রোগীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের দেখা পান না এবং দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেই মিলছে চিকিৎসা পরিষেবা। মন্ত্রী সরেজমিনে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসককে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক হাসপাতালে এসে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যদি রোগীরা হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের দেখা না পান, তাহলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।” পাশাপাশি তিনি হাসপাতালের ভেতরে সাপে কামড়ের প্রতিষেধক, জরুরি ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রাপ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজ নেন, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় এই সময় বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।তিনি হাসপাতালের ভর্তি থাকা রোগী ও তাঁদের পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং পরিষেবার মান সম্পর্কে অবহিত হন।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী জানান, “রাজ্য সরকার মানুষের স্বার্থে স্বাস্থ্য খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই পরিষেবা যাতে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তবে কোনো অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না।”
এদিনের পরিদর্শনে উপস্থিত গোপাল দাসও স্থানীয় মানুষের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং দলীয় স্তর থেকে জনস্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।এলাকার সাধারণ মানুষ মন্ত্রীর হঠাৎ এই পরিদর্শনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন, এর ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গতি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

