১৯ বছরের তরুণী বধূর রহস্যজনক মৃত্যু, খুনের সন্দেহ পরিবারের

আগরতলা, ১ আগস্ট: এক তরণী গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধুর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে গৃহবধূকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বিশালগর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। অভিযোগ মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসলে দুপুর দুটো পর্যন্ত ডাক্তারের দেখা নেই এক সময় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।

খবর নিয়ে জানা গেছে তিন’বছর আগে কমলাসাগর বিধানসভার গকুলনগর আদর্শ কলোনী এলাকার গোপাল দেবনাথের ছেলে রাজু দেবনাথের (৩২) সঙ্গে সামাজিক রীতি অনুযায়ী বিবাহ হয় আগরতলা মলয় নগর এলাকার শংকর দেবনাথের ১৯ বছরের কন্যা শিউলি দেবনাথের। মৃত শিউলি দেবনাথের পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে স্বামী শশুর শাশুড়ি মিলে খুন করেছে শিউলিকে।

মৃত শিউলির পিতা অভিযোগ করেন বিয়ের দুমাস পর থেকেই তাদের সাংসারিক জীবনে ঝামেলা চলছিল। বিয়ের দুমাস পর ১১ মাস শিউলি তার বাবার বাড়িতে ছিল। পরবর্তী সময়ে উভয় পরিবারের মীমাংসার মাধ্যমে শিউলিকে তার স্বামীর বাড়িতে আনা হয়। তাকে তার শশুর মারধোর করত বলে অভিযোগ। এদিকে পনের জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং স্বামীও সংসারে অশান্তি করত বলে অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর পিতা। শুক্রবার সকালে স্বামীর বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ শিউলি, এমনই জানিয়েছে তার শশুর বাড়ির লোকজন। জানা যায় শিউলির শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ বিশালগড় মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এদিকে গৃহবধূর বাবার দাবি, উনার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেনা। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ। পুলিশ একটি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে।