নয়াদিল্লি, ০১ আগস্ট: ভারতের নির্বাচন কমিশন শুক্রবার ১৭তম উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর এই পদের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২২ জুলাইয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উপরাষ্ট্রপতির পদে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন উপরাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণের তারিখ থেকে পূর্ণ পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৭ আগস্ট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ আগস্ট। মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে ২২ আগস্ট। প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৫ আগস্ট। প্রয়োজনে ভোটগ্রহণ হবে ৯ সেপ্টেম্বর (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত) এবং ভোট গণনাও একই দিনে করা হবে।
উপরাষ্ট্রপতি একটি নির্বাচনী কলেজের মাধ্যমে নির্বাচিত হন, যেখানে লোকসভা ও রাজ্যসভার উভয় কক্ষের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকেন। ২০২৫ সালের নির্বাচনী কলেজে মোট ৭৮৮ জন সদস্য থাকার কথা। এর মধ্যে রাজ্যসভার ২৩৩ জন নির্বাচিত (বর্তমানে পাঁচটি আসন শূন্য) এবং ১২ জন মনোনীত সদস্য এবং লোকসভার ৫৪৩ জন নির্বাচিত সদস্য (একটি আসন শূন্য) রয়েছেন। বর্তমানে শূন্য আসন থাকার কারণে নির্বাচনী কলেজে মোট সদস্য সংখ্যা ৭৮২।
এই নির্বাচনটি একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে গোপন ব্যালটে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন রাজ্যসভার মহাসচিবকে এই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে। সংসদ ভবনের প্রথম তলার রুম নম্বর এফ-101, বাসুধা-তে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হবে। তাই নির্বাচকদের অবশ্যই তাদের ভোটের গোপনীয়তা কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে। এই নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার কোনো ধারণা নেই, এবং রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনো পরিস্থিতিতেই কাউকে ব্যালট দেখানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

