আগরতলা,৩০ জুলাই : ত্রিপুরায় বিভিন্ন সরকারি দফতরে দূূর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দূর্নীতির সর্মাথক শব্দই হচ্ছে বিজেপি সরকার। ত্রিপুরায় লুটের রাজত্ব চলছে। তার সাথে তিপরা মথা যুক্ত হয়েছে। আজ বিদ্যুৎ, সিএনজি, পিএনজি, পানীয় জল ও গোমতী দুধ-এর বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে গণঅবস্থান এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী,প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে সহ অন্যান্যরা।
এদিন জনসভায় জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরাবাসী বুঝতে পেরেছেন আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাঁরা এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করে নি। তারা ভেবেছিল মুনশিয়ানাভাবে নির্বাচনী ইস্তেহারে তৈরী করলেই মানুষ বিজেপি সরকারের প্রতি আকৃষ্ট হবে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রে বেশি লাভ হয়নি তাঁদের। উপরন্তু রাজ্যবাসীর উপর একের পর এক ট্র্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে৷ কিছুদিন আগে বর্ধিত বিদ্যুৎ মাশুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি জলের বর্ধিত কর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাঁর কথায়, বাম সরকার রাজ্যকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছিল ২০১৮’তে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে বিজেপি সরকার দাবি করেন তিনি। বিজেপি সরকার রাজ্যে আসার পর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েই যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ, সিএনজি, পিএনজি, পানীয় জল ও গোমতী দুধ-এর মূল্য বর্ধিত করা হয়েছে। গ্রাহকের আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকারের তরফ থেকে স্মার্ট মিটার লাগানোর কথাই জনগনের প্রতিদিন বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন। তারপর সরকারের টনক নড়চ্ছে না, বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাশাপাশি এদিনের জনসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার জন্য বিজেপি সরকার ২০১৮ সালে এবং ২০২৩ সালে ১০টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় কোথাও বর্ধিত ট্যাক্সের কথা বলে নি। বর্তমানে ত্রিপুরায় যেভাবে ট্যাক্স বাড়ানো হচ্ছে তা অগ্রহণযোগ্য নয়।
তাঁর কথায়, কেন্দ্র বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকলেও বিভিন্ন রাজ্যের সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ, তাঁদের প্রতিশ্রুতি পালনে সরকার সাহায্য করছে না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ত্রিপুরায় নির্বাচনী জনসমাবেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেন্দ্র সরকার আর্থিক সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কারণ, তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল মানুষকে বিভ্রান্ত করে যেকোনোভাবে মসনদে বসা। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ।
এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে দূূর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। লাগামহীন দূর্নীতিতে ছেড়ে গেছে রাজ্যে। দূর্নীতির সর্মাথক শব্দই হচ্ছে বিজেপি সরকার। ত্রিপুরায় লুটের রাজত্ব চলছে। তার সাথে তিপরা মথা যুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট সরকারকে আটকানোর জন্য তিপরা মথা বিজেপিকে রাস্তা করে দিয়েছিল। নির্বাচনে জয়ী হয়ে এডিসিকে লুটের রাজত্বে পরিণত করেছে। সরকারি কর্মচারীরা মাসের শেষে বেতন পাচ্ছে না। এডিসি এলাকায় স্কুল, কলেজে শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে। এডিসি এলাকায় জনগণ বিভিন্ন সমস্যায় সম্মুখীন হয়েছেন।

