পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মা ও ছেলের হাতে শারীরিকভাবে আক্রান্ত পুলিশ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

ধর্মনগর, ২৯ জুলাই : রাজ্য পুলিশকে বেধরক পেটালেন এক মহিলা হোটেল ব্যবসায়ী। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ আধিকারিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ছিঃ ছিঃ রব বইছে সর্বত্রই। ঘটনা উত্তর জেলার বাগবাসা থানাধীন শনিছড়া টাটা মোটরসের সার্ভিসিং সংলগ্ন এলাকায়।

জানা যায়,গত সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ বাগবাসা থানার সাব ইন্সপেক্টর শিবু রঞ্জন দেবনাথ টিএসআর বাহিনী নিয়ে রাত্রিকালিন প্রহরায় বের হন। এমন সময় আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশে একটি লরি বাঁক নিতে গিয়ে দূর্ঘটনার সম্মূখীন হয়। তা খতিয়ে দেখতে শিবু বাবু সেখানে যান। এমনসময় শনিছড়ার দিক থেকে এক ব্যক্তি বাইক নিয়ে আসছিলো, তখন পুলিশ বাইকটি আটক করে কাগজ দেখাতে বলে। কিন্তু ঐ ব্যক্তি কাগজ দেখাতে না পেরে আকাশ দাস নামে অপর এক যুবককে ফোন করে। তখন টিআর০৫_ ই _ ৪৭০৯ নম্বরের একটি পালসার বাইক নিয়ে আকাশ দাস ও মা অপর্না দাস ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং পুলিশের সঙ্গে বাক্ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ আটক যুবককে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তার মা অপর্ণা দাস সাব-ইন্সপেক্টর শিবু রঞ্জন দেবনাথকে লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।

সঙ্গে ওনার ছেলে আকাশও মিলে উনাকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। তখন চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকজনরা বেরিয়ে আসে। টিএসআর বাহিনী মহিলাকে আটকাতে চাইলেও ব্যর্থ হয়। তখন খবর পেয়ে বাগবাসা থানার নবাগত ওসি সূর্যকান্ত জমাতিয়া ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আহত শিবু রঞ্জন দেবনাথকে শনিছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। এদিকে রাতেই দুই অভিযুক্ত মা ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৪/২৫ নম্বরে ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩২/১২১(২)/১০৯/৩(৫) ধারায় মামলা রুজু করা হয়। মঙ্গলবার তাদের ধর্মনগর জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।