আগরতলা, ২৯ জুলাই : কালাগাঙ্গের পার গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রশাসনিক ক্রিয়াকলাপ প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে। নতুন নির্বাচিত প্রধান ও উপপ্রধান শপথ গ্রহণ করলেও দায়িত্ব নিতে পারছেন না, যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাথমিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। তাই সিপিআই(এম)-এর পক্ষ থেকে ব্লক দফতর ঘেরাও করে দ্রুত দায়িত্বপ্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা ব্লকের কালাগাঙ্গের পার গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআই(এম) ৭টি এবং বিজেপি ৬টি আসনে জয়ী হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সিপিআইএম এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রায় এক বছর ধরে পঞ্চায়েত কার্যক্রম চালায়। প্রায় তিন মাস আগে সিপিআই(এম)-এর এক সদস্য আর্থিক লোভে বিজেপির দিকে সরে গিয়েছিলেন। অনাস্থা ভোটে প্রধান ও উপপ্রধান পদ হারান, এবং সদস্যপদ বাতিল হয়। ১৬ জুন নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে মমতা বেগম পঞ্চায়েত প্রধান,আব্দুল বাছিত উপপ্রধান নির্বাচিত ও শপথ গ্রহণ করেন।
তবে শপথগ্রহণের প্রায় ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও তারা প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ শুরু করতে পারেননি। যার ফলে স্থানীয়রা রেগা প্রকল্প, ফ্যামিলি কপি, ট্রান্সফার ও অন্যান্য জরুরি সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েত অফিসে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। যদিও জেলা ও ব্লক প্রশাসনের তদন্ত শেষে নবনির্বাচিতদের সনদ প্রদান করা হয়, তারপরও তারা দায়িত্ব নিতে পারছেন না। তাই এরই প্রতিবাদে আজ কদমতলা ব্লকের বিডিও সঞ্জীব দেবনাথকে ঘেরাও করে বিক্ষোভে দেখিয়েছেন সিপিআইএমের কর্মী সর্মথকরা।
তাঁদের দাবি, দ্রুত প্রধান ও উপপ্রধানকে দায়িত্বভার দেওয়া হোক। আজকের এই ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কদমতলা–কুর্তি বিধানসভার সিপিআই(এম) বিধায়ক ইসলামে উদ্দিন, ধর্মনগর মহকুমা সম্পাদক রতন রায়, মহকুমা মণ্ডলীর সদস্য জহুরুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

