প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে কলেজ ড্রেস পরে কলেজে আসার কথা বলায় বহিরাগত যুবক দ্বারা হেনস্থার শিকার কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্ররা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ

কৈলাসহর, ২৮ জুলাই: এক ছাত্রকে কলেজ ড্রেস পড়ে কলেজে আসার কথা বলায় হুরুস্থূল কাণ্ড কৈলাসহর রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে। বহিরাগত যুবকদের ডেকে এনে কলেজের ছাত্রদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে কলেজের চটফ কলেজে নির্দিষ্ট ড্রেস পড়ে আসা বাধ্যতামুলক করার দাবিতে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এক ডেপুটেশন প্রদান করেছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলেজ চত্বরে পুলিশ এবং টিএসআর বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় কলেজ চত্বরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, কৈলাসহরের রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা অনেক দিন ধরেই কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এবং মৌখিকভাবে জানিয়েছিলো যে, কলেজ চলাকালীন সময়ে কলেজের নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা কলেজ ড্রেস পড়ছে না । ছাত্রছাত্রীদের ড্রেস পড়া বাধ্যতামূলক করা হউক। তাছাড়া, প্রায় সময়ই কলেজ চলাকালীন সময়ে কলেজে বহিরাগত যুবকরা প্রকাশ্যেই ঘুরাফেরা করে। এর ফলে কলেজের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। এসব ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন ভুমিকা পালন করছে বলে জানান কলেজ ছাত্ররা। সোমবার দুপুরে এমনই এক কান্ড কলেজে ঘটেছে। কলেজের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম ড্রেস না পড়ে কলেজে আসার পর কলেজের সিনিয়র ছাত্ররা আশরাফুল ইসলামকে কলেজ থেকে চলে যাবার কথা বলার পর আশরাফুল কলেজের গেইটের বাহিরে গিয়ে বহিরাগত যুবকদের খবর দিয়ে কলেজ চত্বরে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ।

বহিরাগত যুবকরা কলেজ চত্বরে আসামাত্রই কলেজের সিনিয়র ছাত্ররা কলেজের গেইট বন্ধ করে দিলে বহিরাগত যুবকদের সাথে কলেজের সিনিয়র ছাত্রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা কলেজ চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কৈলাসহর থানা থেকে প্রচুর পুলিশ এবং টিএসআর বাহিনী কলেজে আসার পর বহিরাগত যুবকরা চলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে, কলেজ চত্বরে এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে ছাত্ররা। এই ঘটনার পর কলেজের এবিভিপি ইউনিট এবং কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে ফের কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কলেজে ড্রেস পড়া বাধ্যতামূলক করা হউক এবং বহিরাগত যুবকরা যেন কলেজ চত্বরে না আসে এরজন্য বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কলেজ অধক্ষ্য ছুটিতে থাকায় কলেজ কর্তৃপক্ষের মতামত জানা যায় নি।