আগরতলা, ২৩ জুলাই : স্বামী, শাশুড়ি এবং ননদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে অনীহা প্রকাশ বোধজংনগর থানার। পরবর্তী সময়ে আই জি আইন-শৃঙ্খলার কড়া নির্দেশে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বোধজংনগর থানা।
জানা গেছে, গত চার বছর আগে কমলাসাগর বিধানসভার অন্তর্গত সেকেরকোট নেতাজি সুভাষ কলোনী এলাকার জালাল মিয়ার মেয়ে রুপচান বেগমের বিয়ে হয়েছিল বোধজংনগর থানার অন্তর্গত রতন নগর এলাকার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে কবির হোসেনের সাথে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান জন্মাবার পর থেকেই পনের জন্য গৃহবধূ রুপচান বেগমের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী কবির হোসেন সহ তার শাশুড়ি ও ননদ। দিনের পর দিন এই নির্যাতন বাড়তে থাকায় একাধিকবার এই বিষয় নিয়ে মীমাংসা সভা হয়েছিল এবং মীমাংসা সভার মাধ্যমে রূপচান বেগম আবার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যায়।
সেখানে কিছুদিন ভালো থাকার পর পুনরায় আবার তার উপর নির্যাতন শুরু হয়। এরই মধ্যে গত রবিবার গৃহবধূ রূপ চান বেগমের উপর আবারো নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ শাশুড়ি এবং ননদ। একসময় নিজের আত্মরক্ষায় গৃহবধূ রূপ চান বেগম তার ছোট কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসতে চাইলে তার স্বামী কবির হোসেন ছোট কন্যা সন্তানটিকে রূপচান বেগমের কাছ থেকে জোরপূর্বক রেখে দেয়।
শেষে রূপচান বেগম একাই সেকেরকোট নেতাজি সুভাষ কলোনিস্থিত তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। রবিবার রাতেই নির্যাতিতা গৃহবধূ রূপ চান বেগম সহ তার বাবার বাড়ির লোকজন বোধজংনগর থানায় স্বামী, শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে মামলা দায়ের করতে আসে এবং তার ছোট কন্যা সন্তানটিকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানায় কিন্তু রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত বোধজংনগর থানার ত্রিপুরা পুলিশ নির্যাতিতা গৃহবধুর লিখিত অভিযোগ রাখতে অস্বীকার করে। এভাবে পরপর দুইদিন নির্যাতিতা গৃহবধূ রুপচান বেগম বোধজংনগর থানায় এসে পুলিশ বাবুদের কাছে বারবার অনুরোধ জানায় তার লিখিত অভিযোগ মূলে মামলা নথিভুক্ত করা সহ তার সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু পুলিশ বাবুরা নির্যাতিতা গৃহবধূর ছোট কন্যা সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়া সহ তার জন্য সুবিচারের ব্যবস্থার কিছুই করেনি।
পরে নির্যাতিতা গৃহবধূর রূপচান বেগমের বাবার বাড়ির এলাকার লোকজনদের পক্ষ থেকে বোধজংনগর থানার ভূমিকা সহ গোটা ঘটনাটি রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরের আইজি আইন শৃঙ্খলার কাছে জানায়। পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আইজি আইন শৃঙ্খলা বোধজংনগর থানাকে কড়া বার্তা পাঠায়। উপর মহলের এই কড়া বার্তা পেয়ে বুধবার থানা বাবুদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।

