গোয়ালপাড়ার পাইকান অরণ্যে হিংসার ঘটনায় রাহুল-খড়গের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ: হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

গুয়াহাটি, ১৮ জুলাই : গোয়ালপাড়া জেলার পাইকান রিজার্ভ ফরেস্টে অবৈধ দখলদার ও পুলিশ-ফরেস্ট ব্যাটালিয়নের মধ্যে সংঘর্ষের পেছনে কংগ্রেস নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যের ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে অসম পুলিশ। শুক্রবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এ-কথা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ওই সংঘর্ষে একজন নিহত হন এবং অন্তত এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মীও রয়েছেন। অভিযোগ, উচ্ছেদকৃত বসবাসকারীরা লাঠি ও পাথর নিয়ে আক্রমণ করে। যার জবাবে পুলিশকে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংঘর্ষের আগের দিন ছয়গাঁওয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী একটি জনসভা করেছেন। সেখানে গোয়ালপাড়া জেলার একাধিক ব্যক্তি, এমনকি এক কংগ্রেস জেলা পরিষদ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষ হওয়ার পর তারা রাতে পাইকানে গিয়ে স্থানীয়দের উসকানি দিয়েছেন। পরদিন সকালেই বন বিভাগের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।

তিনি দাবি করেন, এই হিংসা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। অসম পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে, রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খড়গে-এর বক্তব্যের কোনও প্রভাব এই ঘটনার উপর পড়েছিল কিনা। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে। একজন মানুষ মারা গেছেন, একজন গুরুতর আহত, বলেন শর্মা।

তিনি আরও বলেন, যদি রাহুল গান্ধী ওই উসকানিমূলক বক্তব্য না দিতেন, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। তিনি আগের উদাহরণ টেনে বলেন, এর আগে বহুবার শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে, কোনও সমস্যা হয়নি। এবার কেন হবে, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান তিনি। আমাদের অভিধানে চিন্তা বা পরিকল্পনার জন্য সময় নেই, আমরা সঙ্গে সঙ্গে কাজ করি। ১-২ ঘণ্টার মধ্যেই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এখন পাইকান পুরোপুরি খালি, বলেন তিনি।