কৈলাসহর আরজিএম হাসপাতালে সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু, দায় এড়ানোর খেলায় মত্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

আগরতলা, ১৬ জুলাই : ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের আরজিএম হাসপাতালে এক সদ্যোজাত শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার অমানবিক ও ভঙ্গুর চিত্র আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

গত ১১ জুলাই ছনতৈল গ্রামের গর্ভবতী মহিলা বুল্টি দেবনাথ ভর্তি হন আরজিএম হাসপাতালে। চিকিৎসক ডা. চিরঞ্জীব দেব ওষুধ দেন। প্রসব ব্যথা না ওঠায় নার্সদের একাধিকবার ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু অভিযোগ—নার্স ফেরদৌসি বেগম ও পিংকি সাহা তখন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জিডিএ কর্মী কাকলি মালাকারকে পরিবারের পক্ষ থেকে ডাক দিলে তিনি আসেন এবং নিজ উদ্যোগে প্রসব করান। অতিরিক্ত বল প্রয়োগে সকাল পাঁচটায় শিশুটি জন্ম নিলেও, সে ছিল নিথর।তৎসময়ে একজন কর্তব্যরত ডাক্তার দৈপায়ন পালকে ডাকলে তিনি শিশু ও তার মা কে দেখে শিশুটিকে দ্রুত যে কোনো বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু কৈলাসহর একটি বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে গেলেও শিশুটির প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনার পরেও আরজাএম মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় স্বীকার না করে বৈঠক করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়। চিকিৎসক বলেন, তাঁকে কেউ ফোন করেনি, নার্স বলেন কিছু জানতেন না—যেন দায়িত্ববোধের মৃত্যুই এখানে চূড়ান্ত বাস্তবতা। শিশুর মা বুল্টি দেবনাথ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।