কৈলাসহর জেলা হাসপাতালের বেহাল দশা, স্থানীয় বিধায়কের নেতৃত্বে পথ অবরোধ

কৈলাসহর, ১৫ জুলাই: স্থানীয় বিধায়কের নেতৃত্বে কৈলাসহর ধর্মনগর রাস্তা অবরোধ করা হল মঙ্গলবার। মূলত ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের জরাজীর্ণ অবস্থা এবং জেলা হাসপাতালের বেহাল স্বাস্থ্য পরিসেবা নিয়ে কৈলাসহর-ধর্মনগরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলো বিধায়ক বিরজিত সিনহার নেতৃত্বে চন্ডীপুর ব্লক যুব কংগ্রেস।

মঙ্গলবার দুপুরে কৈলাসহরের ভগবাননগর এলাকায় অবস্থিত ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের সম্মুখে বিধায়ক বিরজিত সিনহার নেতৃত্বে কৈলাসহর-ধর্মনগর রাস্তা অবরোধে করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ প্রদর্শনে বিধায়ক বিরজিত সিনহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঊনকোটি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মো: বদরুজ্জামান, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা চন্দ্রশেখর সিনহা, যুব কংগ্রেস নেতা দ্বীপ সিনহা, সানু চৌধুরী সহ আরও অন্যান্যরা।

বিক্ষোভ প্রদর্শন চলাকালীন বিধায়ক বিরজিত সিনহা জানান যে, রাজধানী আগরতলা থেকে কয়েক শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের পরিসেবা নিয়ে কয়েকবার রাজ্য বিধানসভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে নেওয়ার পরও আজ অব্দি ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তীব্র জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে জেলা হাসপাতাল। জেলা হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে, বিশুদ্ধ পানীয়জল নেই, গোটা ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন, হাসপাতালের টয়লেট বাথরুম ব্যবহারের অযোগ্য, কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়াই ঔষধ ক্রয় করা হচ্ছে। এতসবের পরও জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

জেলা হাসপাতালের এই অবস্থা নিয়ে বিধায়ক বিরজিত সিনহা ঊনকোটি জেলাশাসকের তীব্র সমালোচনা করেন। জেলাশাসকের পক্ষ থেকে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিসেবা নিয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ এনে জেলাশাসকের তীব্র সমালোচনা করেন বিরজিত সিনহা। তাছাড়া ঊনকোটি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন বিধায়ক বিরজিত সিনহা। রোগী কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বৈঠক ডাকা হয়না। বিরজিত সিনহা একজন জনপ্রতিনিধি হওয়া স্বত্বেও উনাকে রোগী কল্যান সমিতির বৈঠকে আমন্ত্রণ করা হয়না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রায় এক ঘন্টা জেলা হাসপাতালের সম্মুখে কৈলাসহর-ধর্মনগর রাস্তা অবরোধ করার পর জেলা হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্টের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করে যুব কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। এদিকে বিক্ষোভের ফলে দুদিন থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তীব্র ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যান চালক থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা।