প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিাশ্রয় কেন্দ্র এর ৭৫তম শাখা উদ্বোধন হতে চলেছে বাদায়ুনে, বি. এল. ভার্মা রাখবেন এর শুভ উদ্বোধন

বাদায়ুন, ১৪ জুলাই : ভারত সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামীকাল, ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে উত্তরপ্রদেশের বাদায়ুনে উদ্বোধন হতে চলেছে দেশের ৭৫তম প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টিাশ্রয় কেন্দ্র । এই কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে বাদায়ুনের সরকারি মেডিকেল কলেজে। কেন্দ্রটির উদ্বোধন করবেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বি. এল. ভার্মা। তার সঙ্গে থাকবেন মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এলিমকো –এর প্রতিনিধিরা, জেলা প্রশাসনের সদস্য এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

পিএমডিকে প্রকল্পটি প্রতিবন্ধী (দ্ব্যাংজন) ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এক ছাতার নিচে একাধিক পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি শারীরিক মূল্যায়ন, কাউন্সেলিং, যন্ত্রপাতি বিতরণ এবং পরবর্তী পর্যায়ের সহায়তা প্রদান করে। কেন্দ্রটি পরিচালিত হচ্ছে এলিমকোর মাধ্যমে, যা একটি কেন্দ্রীয় সরকার অধীনস্থ পাবলিক সেক্টর ইউনিট এবং প্রতিবন্ধীদের সহায়ক উপকরণ তৈরির জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠান।

বাদায়ুনের নবনির্মিত পিএমডিকেকেন্দ্রটি ‘এডিআইপি স্কিম’ ও ‘রাষ্ট্রীয় বয়ঃশ্রী যোজনা’র আওতায় প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে সহায়ক যন্ত্রপাতি যেমন হুইলচেয়ার, ট্রাইসাইকেল, কৃত্রিম অঙ্গ, হিয়ারিং এইড, ওয়াকার এবং অন্যান্য চলাচলের সহায়ক সরঞ্জাম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিতরণ করবে। এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হয়ে উঠবে, যারা এতদিন এই ধরনের সেবা পেতে দূরবর্তী শহরে যেতে বাধ্য হতেন।

এই কেন্দ্রটি চালুর মাধ্যমে এখন দেশে মোট ৭৫টি পিএমডিকে কার্যকরভাবে চালু হলো। প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যেই ১.৪০ লাখেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং ১৭৯.১৫ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সহায়ক যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে। বাদায়ুনের এই কেন্দ্রটি বিশেষত অঞ্চলটির স্থানীয় সুবিধাভোগীদের জন্য একটি বড় উপকার আনবে। এটি যাতায়াতের ঝামেলা কমাবে, সেবা সহজলভ্য করবে এবং প্রাপ্যদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সময়োপযোগী পরিষেবা নিশ্চিত করবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার ” অ্যাক্সেসিবাল ইন্ডিয়া এম্পাওয়ার্ড ইন্ডিয়া ” বা “সুগম ভারত, শক্তিশালী ভারত” উদ্যোগকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরবিচারে কাজ করে চলেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং শেষ প্রান্তিকের নাগরিকদের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পিএমডিকে প্রকল্প একটি কার্যকরী মডেল হয়ে উঠেছে। বি. এল. ভার্মা এ বিষয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে প্রতিবন্ধী ও প্রবীণদের জন্য এই ধরনের প্রকল্পগুলি সরকারের সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন এবং আমরা এই ধরনের আরও বহু কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।