বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস: মাতৃ ও শিশুসুস্থতার জন্য পরিকল্পিত গর্ভধারণ অপরিহার্য : নাড্ডা

নয়া দিল্লি, জুলাই : মাতৃ এবং শিশুসুস্থতা নিশ্চিত করতে পরিকল্পিত গর্ভধারণ অপরিহার্য। প্রতি বছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়। এবছরের থিম ছিল “মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য গর্ভধারণের সঠিক সময় এবং ব্যবধান। আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে একথা বলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

নাড্ডা বলেন, “বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস একটি প্ল্যাটফর্ম যা পারিবারিক পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং জনসংখ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ করে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এবছরের থিমটি মাতৃ ও শিশুসুস্থতার জন্য পরিকল্পিত গর্ভধারণের গুরুত্ব তুলে ধরে।”

এছাড়াও, নাড্ডা এই বছরকের স্লোগানটির ওপর গুরুত্ব দেন,মা হওয়ার সঠিক সময় তখনই, যখন শরীর এবং মন প্রস্তুত থাকে । তিনি বলেন, এই স্লোগানটি “শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতির মাধ্যমে পিতৃত্ব ও মাতৃত্বের বিষয়ে সচেতন এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্ব বোঝায়।”

নাড্ডা বলেন, “সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো, যেমন আয়ুষ্মান অরোগ্য মন্দির, দেশে পারিবারিক পরিকল্পনা সেবা প্রদান করছে। এই কেন্দ্রগুলি পরিবারগুলোকে ক্ষমতায়ন করছে এবং একটি সুস্থ ভারতের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।”ভারত বর্তমানে ১.৪৬ বিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ, চীনের পর।

পপুলেশন ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া এর নির্বাহী পরিচালক পুনম মুত্রেজা
বলেন, এই আলোচনা সংখ্যায় সীমাবদ্ধ না রেখে নারীর ক্ষমতায়নের দিকে কেন্দ্রীভূত হওয়া উচিত। ভারতের জনসংখ্যা সংকটের গল্প নয়, সম্ভাবনার গল্প, যদি আমরা নারী, তরুণ প্রজন্ম এবং বৃদ্ধ জনগণের চাহিদার দিকে নজর দিই,” মুত্রেজা বলেন।

প্রজনন হার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে মুত্রেজা বলেন, “ফোকাস হওয়া উচিত গুণগত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চাকরি সৃষ্টির ওপর। প্রকৃত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রজনন সিদ্ধান্তে জোর করে হস্তক্ষেপে নয়, বরং বিশেষ করে নারীদের শরীর এবং জীবন সম্পর্কে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে ক্ষমতায়নে আসে।”

তিনি নীতি এবং কর্মসূচি তৈরি করতে সময়োপযোগী দায়িত্ব, লিঙ্গ সমতা এবং প্রজনন স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।