আগরতলা, ১০ জুলাই : অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করলো উচ্চ আদালত। সময়ের আগে এই মামলা করা হয়েছে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে দুই থেকে তিন মাস পরে পুনরায় আবেদনকারীদের আদালতের দরস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতিদের বেঞ্চ।
ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ পালিতের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা (পিআইএল) খারিজ করা হয়েছে।
আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত বরিষ্ঠ আইনজীবী মনীশ গোস্বামী বলেন, যে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক ডঃ বিজয় দেববর্মা এবং তিপ্রা স্টুডেন্টস ফেডারেশন (টিএসএফ) এর সাথে যুক্ত ছাত্রনেতা জন দেববর্মা এই এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। আবেদনে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগ বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এবং কেন্দ্রের নির্দেশাবলী বাস্তবায়নে রাজ্যকে বাধ্য করার জন্য বিচারকের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের মে মাসে জারি করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমএইচএ) একটি বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে আইনজীবী শ্রী গোস্বামী বলেন, “কেন্দ্র অবৈধ অভিবাসীদের মোকাবেলার জন্য চার-পদক্ষেপের পদ্ধতির রূপরেখা দিয়েছে — সনাক্তকরণ, বিচার, আটক এবং নির্বাসন। আদালতকে ত্রিপুরা সরকারকে বিদেশী ট্রাইব্যুনাল এবং আটক কেন্দ্র সহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।” তিনি আরো জানান, আবেদনকারীরা এর আগে ২৪ জুন রাজ্য সরকারের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিনিধিত্বমূলক ডেপুটেশন জমা দিয়েছিলেন, যার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশাবলী কীভাবে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা স্পষ্ট করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
আইনজীবী মণীশ গোস্বামী উল্লেখ করেন, যে আসামই একমাত্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য যেখানে অবৈধ অভিবাসীদের মোকাবেলার জন্য কার্যকর পরিকাঠামো রয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে ত্রিপুরাতেও অনুরূপ ব্যবস্থার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
তিনি জানান, উচ্চ আদালত এই পর্যায়ে কোনও নির্দেশনা জারি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আবেদনকারীদের রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। আদালত মনে করেছে যে বিষয়টি তাড়াহুড়ো করে উত্থাপন করা হয়েছে। আদালত আবেদনকারীদের দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে বলেছে এবং যদি কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

