হায়দরাবাদ, ৪ জুলাই: হায়দরাবাদের নিকটবর্তী পসামইলারামে সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর উৎপাদন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯-এ। শুক্রবার আহত এক শ্রমিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করলে এই সংখ্যা বেড়ে যায়।
ধ্রুবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ভীম রাও শুক্রবার মৃত্যুবরণ করেন। সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা ৪০ থেকে সংশোধন করে ৩৮ করেছিল। কোম্পানি জানিয়েছে, আহত ৩৩ জনের মধ্যে ১২ জনকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে প্রাথমিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। আহতদের সম্পূর্ণ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্বও কোম্পানি নিয়েছে।
সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, তেলেঙ্গানা সরকারের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, যারা দুর্ঘটনার কারণ ও পটভূমি নিয়ে তদন্ত করছে। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট সাত দিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে।
সাঙ্গারেড্ডি জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি. প্রবিণ্যা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৩১টি দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। নয়জন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণের সময় কারখানার ভেতরে ১৪৩ জন শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ৬১ জন নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
বৃহস্পতিবার ধ্বংসস্তূপে নতুন করে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধারকারী দল ২০টি কঙ্কালের অংশ উদ্ধার করেছে। এগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ডিএনএ মিলানোর উদ্দেশ্যে। সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ পরিতোষ পঙ্কজ জানিয়েছেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বাকি অংশ পরিবারের সদস্যরা পৌঁছালে সম্পূর্ণ করা হবে।
শুক্রবার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবে।
এই দুর্ঘটনার তদন্তে রাজ্য সরকার আরও একটি চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সিএসআইআর-আইআইসিটি-এর এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট বি. ভেঙ্কটেশ্বর রাও। অন্যান্য সদস্যরা হলেন – টি. প্রতাপ কুমার, সুর্য নারায়ণ (অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী), এবং সন্তোষ ঘুঘে (সেফটি অফিসার, পুনে)।
উল্লেখ্য, ৩০ জুন সাঙ্গারেড্ডি জেলার পসামইলারামের পাতাঞ্চেরু মণ্ডলে অবস্থিত এই কারখানায় এক বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। কারখানাটিতে মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ পাউডার তৈরি হয়, যা ট্যাবলেট ও ক্যাপসুলে বাইন্ডিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

