৩৯২টি রাজস্ব গ্রাম উপকৃত হবে ধরতি আবা জন ভাগিদারী অভিযান প্রকল্পে : কৃষি মন্ত্রী

আগরতলা, ২৪ জুন: কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ জানিয়েছেন যে, ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান (ডিএজিজিইউএ) ও ধরতি আবা জন ভাগিদারী অভিযান প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৭৭৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি, যার মধ্যে রয়েছে ৩৯২টি রাজস্ব গ্রাম, তারা উপকৃত হবে।

কৃষিমন্ত্রী, যিনি ‘ধরতি আবা জনজাতীয় গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান’ ও ‘ধরতি আবা জনভাগীদারি অভিযান’-এর জন্য পশ্চিম জেলার প্রভারী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তিনি এই অভিযানে ব্যাপক সাফল্য আনতে সমস্ত জনজাতীয় নেতা ও কর্মীদের নিয়ে ভগৎ সিং যুব ছাত্রাবাসে একটি বৈঠক করেন।

পরবর্তী সময় তিনি সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন এই প্রকল্পটি শুরু হয়েছে ১৫ জুন থেকে এবং চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। মন্ত্রী নাথ বলেন, “ভগবান বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রিপুরা সরকার রাজ্যজুড়ে ১৫ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ধরতি আবা জনভাগীদারি অভিযান শীর্ষক একটি সচেতনতা ও উপকার প্রদান অভিযান পরিচালনা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “ত্রিপুরায় ৮টি জেলার ৫২টি ব্লকে ৭৭৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটি, যার আওতায় রয়েছে ৩৯২টি রাজস্ব গ্রাম, তারা ডিএজিজিইউএ-র মাধ্যমে উপকৃত হবে। রাজ্যের ২০টি দপ্তর এই অভিযান বাস্তবায়ন করবে। আমাদের দল ও সরকার যৌথভাবে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারের মূল স্লোগান হল ‘সবার সঙ্গে, সবার উন্নয়ন’।”

মন্ত্রী আরও বলেন, কিছুদিন আগেই সরকার পিএম জনমন প্রকল্প চালু করেছে। “বিজেপি সর্বদা সমাজের শেষ প্রান্তের মানুষদের কথা ভাবে, সরকারও তাই করে। সেইসব পিছিয়ে পড়া জনজাতি মানুষের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই দুটি কর্মসূচি — ধরতি আবা জনভাগীদারি অভিযান এবং ধরতি আবা গ্রাম উৎকর্ষ অভিযান — চালু করা হয়েছে। রাজ্যের ৮টি জেলায় ৮ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের জনজাতি ভাইবোনেরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে উন্নয়নের দিক থেকে, কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার তাদের উন্নয়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করছে। কোথাও কোনও ঘাটতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা শিল্প প্রতিযোগিতা, স্বাস্থ্য শিবির, কুইজ প্রতিযোগিতা, সচেতনতা অভিযানসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি,” বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী নাথ বলেন যে পশ্চিম জেলার অধীনে সাতটি স্থানে – ২৬ জুন জিরানিয়া আরডি ব্লকে, ৩০ জুন বেলবাড়ি আরডি ব্লকে, ৩০ জুন পুরাতন আগরতলা আরডি ব্লকে, ২৬ জুন লেফুঙ্গা আরডি ব্লকে, ২৬ জুন মন্দাই আরডি ব্লকে, ২৮ জুন হেজামারা এবং মোহনপুর আরডি ব্লকে এবং ডুকলি আরডি ব্লকে, এই অভিযান ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। “আমরা তাদের এসটি সার্টিফিকেট, পিএম-কিষাণ, পিআরটিসি, আয়ুষ্মান ভারত, কিসান ক্রেডিট কার্ড ও মুদ্রা ঋণ, প্যান কার্ড, জীবন জ্যোতি যোজনা, অটল পেনশন যোজনা ও আইসিডিএস প্রকল্প সহ সকল ধরনের সরকারি সুবিধা প্রদান করব,” বলেন কৃষি মন্ত্রী।