আগরতলা, ১৮ জুন : পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে এক গৃহবধূ। ওই ঘটনায় উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার শিববাড়ি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গৃহবধু পুষ্পিতার স্বামী বিতান ভূষণ চক্রবর্তীর বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন রাত এগারোটা নাগাদ তিনি ঘরে ফেরেন। স্বাভাবিকভাবে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ হয় এবং তখন পর্যন্ত কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। বিতান জানান, তাঁর পিতা একজন ব্রেন স্ট্রোকের রোগী এবং বিছানায় শয্যাশায়ী। তিনি ও তাঁর ছোট ভাই বাসুদেব মিলে বাবার সেবা-শুশ্রূষা করে চলেছেন। প্রতিদিনের মতোই সেদিনও তিনি ছোট ভাইকে বলেন, আজ রাতে তিনি নিজেই বাবার কাছে থাকবেন।
এই কথাটি জানার পর থেকেই স্ত্রী পুষ্পিতা চক্রবর্তী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি অভিযোগ করেন, “বিয়ে করে স্ত্রীর সাথে না থেকে কেন বাবার সঙ্গে রাত কাটাতে হবে?” এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এরপর পুষ্পিতা তাঁর স্বামীর মোবাইলে একটি বার্তা পাঠান— “ভালো থেকো তোমার ফ্যামিলি নিয়ে।” এরপর তাঁর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। দরজা না খোলায়, সন্দেহবশত জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন বিতান। ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন, পুষ্পিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ভাই বাসুদেবকে ডাকেন। তখনও তিনি আশা করছিলেন স্ত্রী বেঁচে আছেন। তাই দ্রুত তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। শেষমেশ তাঁকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পুষ্পিতাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও এলাকাজুড়ে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং মানসিক চাপই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

