ঘুষ কান্ড : ধৃত আইএএস আধিকারিক ধিমান চাকমার ত্রিপুরায় পৈতৃক বাড়িতে ও হিমাচলে শ্বশুরালয়ে তল্লাশি ভিজিল্যান্সের

আগরতলা, ১৮ জুন : ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ওড়িশা ক্যাডারের আইএএস আধিকারিক ধিমান চাকমার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ওডিশা ভিজিল্যান্স। এই ঘটনায় তিনটি দল গঠন করে ত্রিপুরা ও হিমাচল প্রদেশে পাঠানো হয়েছে বলে আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ওড়িশা ভিজিল্যান্স।

ভিজিল্যান্সের দলগুলি ধিমান চাকমার উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরের পৈতৃক বাড়িতে এবং হিমাচল প্রদেশের কুল্লু জেলার মানালির অন্তর্গত সামিনালা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি ও লাহৌল-স্পিতি জেলার কিলং থানার রাংবে এলাকায় তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে ভুবনেশ্বরের বিশেষ ভিজিল্যান্স আদালতের জারি করা ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ব্যাংকে জমা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ ও যাচাই করা হচ্ছে। তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদের দৃষ্টিকোণ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তল্লাশি অভিযান এখনও চলমান।

এদিকে, উত্তর ত্রিপুরায় কাঞ্চনপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আশীষ কুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, ওড়িশা ভিজিল্যান্সের একটি টিম গত সোমবার এসেছিলেন। তাঁরা ধৃত আইএএস আধিকারিক ধিমান চাকমার পৈতৃক বাড়িতে তল্লাশি করেছে। তল্লাশি অভিযান সেরে তাঁরা ফিরে গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ ব্যাচের ওড়িশা ক্যাডারের আধিকারিক অফিসার ধিমান চাকমাকে ৮ জুন কালাহান্ডি জেলার ধর্মগড়ে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিল ভিজিল্যান্স। তিনি তখন ধর্মগড়ের সাব-কলেক্টরের পদে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ অনুসারে, তিনি এক ব্যবসায়ীর উপর সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। ব্যবসায়ী ভিজিল্যান্স দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানালে, ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা তাকে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় ধরেন। ঘটনার পরে তার সরকারি বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে আরও ৪৭ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ভিজিল্যান্স। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।