বেঙ্গালুরু, ১৪ জুন : অ্যাপ-ভিত্তিক ট্যাক্সি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা উবের, র্যাপিডো-কে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে কর্ণাটকে তাদের বাইক পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।
শুক্রবার বিচারপতি ভি কামেশ্বর রাও এবং বিচারপতি শ্রীনিবাস হরীশ কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। ২ এপ্রিল সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতির রায়ে উবের, র্যাপিডো-কে বাইক পরিষেবা ছয় সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যার সময়সীমা পরে ১৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। উবের এবং র্যাপিডো সেই আদেশের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানালেও আদালত তা খারিজ করে দেয়।
আদালত জানিয়েছে, যদি রাজ্য সরকার জানাত যে তারা নতুন নিয়ম তৈরির প্রক্রিয়ায় আছে, তাহলে আদালত সেই আদেশ স্থগিত রাখার বিষয়ে বিবেচনা করত। কিন্তু সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে যে তারা বাইক পরিষেবা সম্পর্কিত কোনো বিধিনিষেধ বা নিয়ম তৈরির পথে নেই। ফলে, বিচারপতিরা বলেন, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অবকাশ আদালতের নেই, কারণ এটি সরাসরি রাজ্য সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের সঙ্গে যুক্ত।
আবেদনে উবের ও র্যাপিডো দাবি করেছিল, যেন তাদের বাইক পরিষেবার জন্য হলুদ নম্বর প্লেট ব্যবহার করতে দেওয়া হয়, যাতে তা বাণিজ্যিক গাড়ি হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে, ২০১৬ সালের “অন-ডিমান্ড ট্রান্সপোর্ট অ্যাগ্রিগেটর রুলস”-এর আওতায় এই অনুরোধ গ্রহণযোগ্য নয়।
এই আদেশ শুধুমাত্র বাইক পরিষেবা সংস্থাগুলির জন্যই নয়, বরং এই পরিষেবায় যুক্ত হাজার হাজার চালকের জন্য বড় ধাক্কা। বহুদিন ধরেই তারা এই পেশার ওপর নির্ভর করছিলেন জীবিকা নির্বাহের জন্য। পাশাপাশি, মেট্রো শহরে দৈনিক যাতায়াতের জন্য নির্ভরশীল বহু সাধারণ মানুষের জন্যও এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে।
আদালত আগামী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৪ জুন। তবে ততদিনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে সমস্ত অ্যাপ-নির্ভর বাইক পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। এই রায়ে কর্ণাটকের শহুরে যাতায়াত ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, বিশেষত বেঙ্গালুরুর মতো শহরে যেখানে বাইক পরিষেবা ছিল দ্রুত এবং সুলভ পরিবহনের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।

