ত্রিপুরায় ২ জনের দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ, সারা দেশে সক্রিয় রোগী ৭৪০০, গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৫৪ জন, মৃত্য হয়েছে ৯ জনের

আগরতলা/নয়াদিল্লি, ১৪ জুন: ত্রিপুরায় চোখ রাঙানো শুরু করেছে করোনা। গত ২৪ ঘন্টায় ২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাঁদের বাড়িতে একান্তবাসে রাখা হয়েছে। এদিকে, সারা দেশে ৭৪০০ জন করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে ৩৫৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়া ৮৫ জন সুস্থ হয়েছেন এবং সব মিলিয়ে ৯৯১ জন করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা: তপন মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্যে বর্তমানে ২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। তাঁরা ধলাই এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বাসিন্দা। তিনি বলেন, সাধারণ সর্দি/কাশি, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের করোনার পরীক্ষা করা হয়েছিল। আরটি-পিসিআর পরীক্ষার তাঁদের দেহে করোনার সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা বাড়িতেই একান্তবাসে রয়েছেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ইতিপূর্বে একজনের করোনার সংক্রমণ মিলেছিল। তিনি বর্তমানে সুস্থ হয়ে গেছেন।

প্রসঙ্গত, দেশে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণের গতি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩৫৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪০০ জনে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের বৃহস্পতিবার সকালের বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে আরও নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নয় জনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে চার জন, কেরালায় তিন জন এবং রাজস্থান ও তামিলনাড়ুতে এক জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে আট জনই প্রবীণ নাগরিক ছিলেন, যাঁদের মধ্যে কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউমোনিয়ার মতো সহ-অসুস্থতা ছিল। এছাড়া ৩৪ বছর বয়সী এক যুবকের করোনা আক্রান্তে মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ফুসফুসে সমস্যা ছিল এবং নিউমোনিয়া হয়েছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, কেরালা এখনও সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীর রাজ্য, যেখানে ২১০৯ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। এরপরেই আছে গুজরাত(১৪৩৭), পশ্চিমবঙ্গ(৭৪৭), দিল্লি (৬৭২), মহারাষ্ট্র (৬১৩), কর্ণাটক (৫২৭), উত্তর প্রদেশ(২৪৮), তামিলনাড়ু (২৩২), রাজস্থান (১৮০), মধ্য প্রদেশ(১২০), অন্ধ্র প্রদেশ(১০২), হরিয়ানা (৯৭), ছত্তিসগড়(৫০), সিকিম(৫০), ওড়িশা(৪৫), বিহার (৪১), পাঞ্জাব(২৯), অসম(২৬), ঝাড়খন্ড(২৫), পুদুচেরি(১০), জম্মু ও কাশ্মীর(৯), তেলেঙ্গানা(৮), গোয়া(৬), মণিপুর(৫), উত্তরাখণ্ড(৫), লাদাখ(৩), চণ্ডীগড়(২) এবং ত্রিপুরা(২)। বর্তমানে হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, দাদরা নগর হাভেলি ও দমন এবং দিও, আন্দামান-নিকোবর, লাক্ষাদ্বীপ এবং অরুণাচল প্রদেশ-এ একজনও করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগী নেই।

এদিকে, সাধারণ মানুষকে বারবার সচেতন করা হচ্ছে—হাত ধোয়ার অভ্যাস, সঠিকভাবে কাশির শিষ্টাচার মানা, অসুস্থ অবস্থায় ভিড় এড়িয়ে চলা এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য। সরকারি তথ্য জানার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইট এবং পিআইবি-র অফিসিয়াল আপডেট অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপ ও স্বচ্ছ যোগাযোগ বজায় রাখা হবে।