আগরতলা, ১২ জুন : নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত দিদিমণিকে সেন্টার থেকে বের করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দিলো ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্রামগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নং ওয়ার্ড সমতল আমতলী এলাকার নেতাজি কলোনি অঙ্গনওয়াডী সেন্টারে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, বিশ্রামগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সমতল আমতলী এলাকার নাগরিকদের অভিযোগ সমতল আমতলী এলাকা অর্থাৎ তিন নং ওয়ার্ডে যোগ্য প্রার্থী সুনীতি দেববর্মা নেতাজি কলোনি অঙ্গনারী সেন্টারে দিদিমনির জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। এছাড়াও সুনীতি দেববর্মার দাদা শ্বশুর দুলু মনি দেববর্মা। নেতাজি কলোনি অঙ্গনারী সেন্টারের জন্য জায়গা দান করেছিলেন। এরপরেও সুনিতি দেববর্মাকে নিয়োগ না দিয়ে বিশ্রামগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ড থেকে বাঙ্গালী মহিলা মন্টি ভৌমিক দত্তকে দিদিমণি হিসেবে অর্থাৎ কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সমতল আমতলী নেতাজি কলোনি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। নতুন দিদিমণি বৃহস্পতিবার দিন তার কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ সেন্টারে গিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দিদিমণিকে সেন্টার থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেন।ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের মধ্যে রয়েছেন সমতল আমতলী এলাকার অর্থাৎ তিন নং ওয়ার্ড এলাকার বিশ্রামগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি কাজল রানী দেববর্মা এবং এই ওয়ার্ডের ইন্টারভিউ দেওয়া যোগ্য প্রার্থী তথা প্রাক্তন চড়িলাম ব্লক বি এ সি চেয়ারম্যান রাজীব দেববর্মার স্ত্রী সুনীতি দেববর্মা।
অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমনির চাকরি থেকে বঞ্চিত হলেন প্রাক্তন ব্লক চেয়ারম্যানের স্ত্রী সুনীতি দেববর্মা ও।ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ নেতাজি কলোনি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী উপজাতি। তাই এই সেন্টারে উপজাতি দিদিমনি দরকার। বাঙালি দিদিমণি কিভাবে উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের পড়াবেন। তিনিতো উপজাতি ভাষা বুঝেন না। তাছাড়া ও তিনি এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বাসিন্দা নন। এছাড়াও এই অঙ্গনারী সেন্টারে প্রাক্তন কর্মী তথা দিদিমনি নমিতা দেববর্মা উপজাতি ছিলেন এবং ছয় মাস আগে অবসরে গিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে তারা জানিয়েছে, তারা কোনোভাবেই নেতাজি কলোনি অঙ্গনারী সেন্টারে জেনারেল প্রার্থী মন্টি ভৌমিক দত্তের নিয়োগ মেনে নেবেন না। যতদিন পর্যন্ত সুনিতি দেববর্মাকে নিয়োগ না দেওয়া হয় ততদিন পর্যন্ত তারা অঙ্গনারী সেন্টারের তালা খুলবেন না বলে সংবাদ মাধ্যমে হুমকি দিয়েছেন।

