মিলল সিআরএস অনুমোদন, মিজোরামের রাজধানীও রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে জুড়ল

মালিগাঁও, ১১ জুন : হরতকি থেকে সাইরাং পর্যন্ত নবনির্মিত ব্রডগেজ (বিজি) লাইনের সফল কমিশনিং এবং কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)-এর অনুমোদনের মাধ্যমে মিজোরামের পরিকাঠামোর ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পটি ৫১.৩৮ কিলোমিটার ভৈরবী-সাইরাং নতুন রেল লাইনের কাজ সম্পন্ন করে, প্রথমবারের জন্য রাজ্যের রাজধানী আইজলের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপন করার কৃতিত্ব স্থাপন করেছে। ৬ থেকে ১০ জুন ২০২৫ -এর মধ্যে, হরতকি থেকে সাইরাং পর্যন্ত ৩৩.৮৬৪ কিলোমিটার দৈর্ঘের শেষ অংশটি শ্রী সুমিত সিংঘল, কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি(সিআরএস), উত্তর পূর্ব সীমান্ত সার্কেল, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করেন। পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক বিবৃতিতে এই সংবাদ জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভৈরবী থেকে হরতকি অংশটি ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মিজোরাম এখন জাতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে সম্পূর্ণরূপে সমন্বিত হয়েছে। এই রূপান্তরমূলক কৃতিত্ব যাত্রী ও মালবাহী চলাচলকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, আর্থ-সামাজিক বৃদ্ধিকে উন্নত করবে এবং মিজোরামের জনগণের দীর্ঘস্থায়ী আকাঙ্খা – তাদের রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে ট্রেনের আগমন দেখার আশা পূরণ করবে। সিআরএস পরিদর্শনটি মোটর ট্রলির মাধ্যমে/পায়ে হেঁটে পরিচালিত হয়েছিল, তারপরে একটি ডিজেল লোকোমোটিভ দ্বারা চালিত একটি ইন্সপেকশন স্পেশাল ব্যবহার করে গতিবেগ পরীক্ষা করা হয়েছিল। হরতকি-সাইরাং অংশটি পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত এবং এতে ৩২টি সুড়ঙ্গ এবং ৩৫টি প্রধান সেতু রয়েছে। কঠিন ভূখণ্ড সত্ত্বেও, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে প্রশংসনীয় কাজ করেছে। পরিদর্শনের পর, সিআরএস হরতকি থেকে সাইরাং পর্যন্ত বিজি লাইনটি খোলার অনুমোদন দিয়েছে যাতে মেইন লাইনে সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন করা যায়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫১.৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেলওয়ে প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি প্রকৌশল বিস্ময়। এই প্রকল্পে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি প্রধান সেতু এবং ৮৭টি ছোট সেতু রয়েছে। এই প্রকল্পে মোট টানেলের দৈর্ঘ্য ১২৮৫৩ মিটার। ১৯৬ নম্বর সেতুর উচ্চতা ১০৪ মিটার যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার লম্বা। প্রকল্পের মধ্যে ৫টি রোড অভার ব্রিজ এবং ৬টি রোড আণ্ডার ব্রিজ রয়েছে। এই নতুন লাইন প্রকল্পটিকে চারটি সেকশনে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন ভৈরবী – হরতকি, হরতকি – কাউনপুই, কাউনপুই – মুয়ালখাং এবং মুয়ালখাং – সাইরাং।

তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এই অনুমোদন মিজোরামের রাজধানীর জাতীয় রেলওয়ে গ্রিডে একত্রীকরণের ক্ষেত্রে একটি বড় কৃতিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা যায় এবং প্রত্যন্ত ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি ভারতীয় রেলওয়ের প্রতিশ্রুতিকে প্রদর্শন করে।