ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংসদীয় সহযোগিতা জোরদার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সদ্বব্যবহার এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা ও মতবিনিময়

ব্রাসিলিয়া/নয়াদিল্লি, ৭ জুন: ব্রাজিলিয়ার রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত ১১তম ব্রিকস সংসদীয় ফোরামের সমাপ্তিতে ভারতের লোকসভার মাননীয় স্পিকার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি ব্রিকস সম্মেলনের সফল আয়োজনে ব্রাজিলের সংসদ, সরকার এবং জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।”

সম্মেলনে ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংসদীয় সহযোগিতা জোরদার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা ও মতবিনিময় হয়। আলোচনার শেষে একটি চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়।

ঘোষণাপত্রে ব্রিকস দেশসমূহ সর্বসম্মতভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ভারতীয় উপত্যকা কাশ্মীরের পাহলগামে গত ২২ এপ্রিল সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয় এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ রোধে এই শূন্য সহনশীলতা নীতির আহ্বান জানিয়েছেন।

সম্মেলনে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহার নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। সকল সদস্য দেশ একমত হন যে, এআই-এর ব্যবহার প্রয়োজনীয় হলেও এর ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। একইসঙ্গে, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি, পারস্পরিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং ব্রিকস দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির দিকেও আলোকপাত করা হয়।

লোকসভার স্পিকার বলেন, “ভারত বরাবরই আইনের শাসন, বৈশ্বিক সহযোগিতা ও বিশ্ব মঞ্চে সংলাপের পক্ষে। আগামী ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজক দেশ হবে ভারত। আমরা অর্থনীতি, সমাজ, বাণিজ্য, এআই এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করব।”

তিনি আরও বলেন, “সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা সংসদীয় বিনিময়, অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নিয়ে নাগরিকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারি। আমি ব্রিকস দেশসমূহের সংসদের স্পিকার ও প্রেসিডেন্টদের প্রতি আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।”

ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১২তম ব্রিকস সংসদীয় ফোরাম সফলভাবে আয়োজনের জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হবে এবং সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতায় সম্মেলনকে সার্থক করে তোলা হবে।