নয়া দিল্লি, ৪ জুন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ, কর্মচারী, জনঅভিযোগ ও পেনশন বিভাগের কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং আজ ১৩তম অল ইন্ডিয়া পেনশন আদালতের অনুষ্ঠানে পেনশন সংক্রান্ত অভিযোগের সময়বদ্ধ ও কার্যকর নিষ্পত্তির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন ব্যবস্থার মূল নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পেনশনপ্রাপ্তদের অভিযোগ দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া উচিত যাতে নাগরিককেন্দ্রিকতা বজায় থাকে।
দীর্ঘ দিন ধরে পেশাগত জীবনে দেশসেবা করা পেনশনপ্রাপ্তদের প্রতি প্রশাসনের সংবেদনশীলতা এবং দক্ষতার গুরুত্ব তুলে ধরে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, “একজন পেনশনভোগী যেন তার স্বাভাবিক অধিকার পেতে বারবার দফতর থেকে দফতরে ঘুরতে না হয়।” তিনি অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে “সম্পূর্ণ সরকার” পদ্ধতি গ্রহণের আহ্বান জানান এবং বিষয়টি কেবল প্রতিক্রিয়াশীল নয়, বরং প্রযুক্তি দ্বারা সমর্থিত এবং সহানুভূতিপূর্ণ হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া পেনশন আদালতের ১২টি অধিবেশনে মোট ২৫,৪১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৮,১৫৭টি সফল হয়েছে, যা প্রায় ৭১ শতাংশ সমাধান হার হিসেবে গৃহীত। ডঃ সিং এটি উদ্যোগের কার্যকারিতার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এই বছরের পেনশন আদালতের থিম ছিল পরিবার পেনশন বিষয়ক অভিযোগ, যেগুলোর অধিকাংশই নারীদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত। ডঃ জিতেন্দ্র সিং পেনশন এবং পেনশনভোগী কল্যাণ দফতরকে এ বিষয়ে সঠিক থিম বাছাই করার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি আরও বলেন, যারা আদালতে সরাসরি উপস্থিত হতে পারেন না, তাদের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এই আদালতগুলো শুধু অভিযোগ নিষ্পত্তির প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি সরকারের প্রতিশ্রুতি যে কোনো ভুক্তভোগীর কন্ঠস্বর শুনে নেওয়া হবে।” তিনি কেন্দ্রীভূত পেনশন অভিযোগ নিষ্পত্তি ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা-এর মতো ডিজিটাল উদ্যোগগুলো দ্রুত এবং স্বচ্ছ নিষ্পত্তির জন্য আরও সক্রিয় ব্যবহারের আহ্বান জানান।
ডঃ জিতেন্দ্র সিং পেনশনপ্রাপ্তদের কেবল সুবিধাভোগী নয়, বরং প্রশাসনিক পরিবারের সম্মানিত সদস্য হিসেবে বিবেচনা করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন অধিকাংশ অভিযোগের কারণ বিলম্ব বা প্রক্রিয়াগত ত্রুটি, যা সমাধানের জন্য দফতরগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং জবাবদিহিতা বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি মন্তব্য করেন, “যখন নাগরিকরা শ্রুত ও সম্মানিত বোধ করে, তখন তা সরকারের প্রতি বিশ্বাসকে বাড়ায়।”
পেনশন আদালত এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, প্রতিরক্ষা কর্মী এবং পরিবার পেনশনভোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ডঃ সিং পেনশন ও পেনশনভোগী কল্যাণ দফতরের স্বল্পপত্রিকা পিপিও, সংযুক্ত পোর্টাল এবং অভিযোগ ড্যাশবোর্ডের মতো সংস্কারমূলক উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
শেষে ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন, “সরকারের কর্তব্য হল বয়স্ক নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা দেওয়া, যা দ্রুত এবং সহানুভূতিশীলভাবে নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনদর্শন তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন দেশের প্রবীণ নাগরিক ও অবসরপ্রাপ্তরা নিরাপদ এবং মূল্যায়িত বোধ করবেন।”

