আগরতলা, ২ জুন : ওয়াইটিএফের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। যদি তার মধ্যে রাজ্য সরকার গোমতি জেলাশাসক তড়িৎকান্তি চাকমার বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ত্রিপুরা বন্ধের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান আজ সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন ওয়াইটিএফের প্রেসিডেন্ট সুরজ দেববর্মা।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়াইটিএফের প্রেসিডেন্ট সুরজ দেববর্মা বলেন, গোমতী জেলাশাসক টিকে চাকমা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মাকে অপমানিত করেছেন। এর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সেই কারণেই এদিন গোমতী জেলায় আন্দোলন সংঘটিত করেছে ওয়াইটিএফ। তারা আরো জানায়, যদি আগামী সাতদিনের মধ্যে রাজ্য সরকার গোমতী জেলাশাসকের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে গোটা ত্রিপুরা বনধের ডাক দেবে তারা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, করোনাকালীন সময়ে যেমন গোটা ত্রিপুরায় লকডাউন হয়েছিল, একই অবস্থা তারা আবার সংঘটিত করবে। রাজ্য সরকারের দিকে একপ্রকার হুমকির আওয়াজে এমনটাই জানায় তারা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি জানার পর বিষয়টি দেখছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আস্থা না রেখে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ গোমতী জেলায় আন্দোলন সংগঠিত করেছে ওয়াইটিএফ। একদিকে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, লাগাতার বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘর ছাড়া আছেন বহু মানুষ। তার মধ্যে ওয়াইটিএফের এই আন্দোলন কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে ওয়াইটিএফ এর সাংবাদিক সম্মেলনের আগে, এমএলএ হোস্টেলে এক বৈঠক সংঘটিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের দুই মন্ত্রী, অনিমেষ দেববর্মা এবং বৃষকেতু দেববর্মা। রাজ্যের শরিক দলে থেকেও কেন এই আন্দোলন? জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা এড়িয়ে যান। তিনি বলেন রাজ্য সরকার জেলা শাসকের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করাতেই টিওয়াইএফ আন্দোলন করছে। এদিকে মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, দলের একজন কর্মী হিসেবে তিনি বৈঠকে এসেছেন। যাবতীয় সিদ্ধান্ত টিওয়াইএফ।
শাসক দলের সঙ্গে শরিক হিসেবে রয়েছে তিপ্রা মথা। বৈঠকে থাকা দুই মন্ত্রীও রাজ্য সরকারের মন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন কতটা যুক্তিযুক্ত সেটাই বড় প্রশ্ন।

