উন্নয়নের জন্য ১৬তম অর্থ কমিশনের কাছ থেকে ৩.০৩ লক্ষ কোটি টাকা অনুদান চাইল ঝাড়খন্ড

রাঁচি, ৩০ মে : রাজ্যের সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ঝাড়খণ্ড সরকার ১৬তম অর্থ কমিশনের কাছ থেকে ৩.০৩ লক্ষ কোটি টাকার অনুদান চেয়েছে। শুক্রবার, অর্থ কমিশনের প্রতিনিধিদলের সামনে রাজ্যের মন্ত্রীরা, শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারিক এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিরা একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন। এতে তারা গুরুত্বপূর্ণ খাতে টেকসই উন্নয়নের একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ তুলে ধরেন। কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পনগড়িয়া-র নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল বর্তমানে চারদিনব্যাপী ঝাড়খণ্ড সফরে রয়েছেন।

রাজ্য সরকার দাবি করেছে, ঝাড়খণ্ড খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও, জাতীয় উন্নয়নের জন্য এই সম্পদের ব্যাপক ব্যবহারের তুলনায় কেন্দ্রের কাছ থেকে যথাযথ অনুদান পায়নি। কমিশনের সাথে বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী রাধা কৃষ্ণ কিশোর, উচ্চ শিক্ষা, নগরোন্নয়ন ও পর্যটনমন্ত্রী সুদিব্য কুমার সোনু, জলসম্পদ মন্ত্রী যোগেন্দ্র প্রসাদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ঝাড়খণ্ডকে উন্নত রাজ্যের সঙ্গে সমকক্ষ করতে বিশেষ আর্থিক সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সরকারের পেশকৃত মোট ৩.০৩ লক্ষ কোটির দাবির মধ্যে ২.০১ লক্ষ কোটি টাকা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য চাওয়া হয়েছে। এর আওতায় রয়েছে রাস্তা, সেতু, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবহণ, নগর পরিকাঠামো, জ্বালানি, শিল্প এবং পর্যটন খাত। এর পাশাপাশি সমাজকল্যাণ খাতে ৪৪,৪৪৭ কোটি টাকা, কৃষি, বন এবং জলসম্পদ খাতে ৪১,৩৮৮ কোটি টাকা এবং স্বরাষ্ট্র, পঞ্চায়েত রাজ, ভূমি সংস্কার ও রাজস্ব প্রশাসনের জন্য ১৭,৯১৮ কোটি টাকার দাবি জানানো হয়েছে।

বৈঠকের পর পর্যটনমন্ত্রী সুদিব্য কুমার সোনু জানান, “অর্থ কমিশন রাজ্যের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ ও অগ্রাধিকারের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া নিয়েছে। তারা আমাদের দাবির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।” জলসম্পদ মন্ত্রী যোগেন্দ্র প্রসাদ বলেন, “আমরা ঝাড়খণ্ডের বিশেষ চাহিদা ও লক্ষ্য নিয়ে একটি সুসংহত রিপোর্ট কমিশনের সামনে উপস্থাপন করেছি। আমরা আশাবাদী যে, কমিশন আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ অনুদান ঝাড়খণ্ড পাবে।”