গান্ধীনগর, ২৭ মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক জনসভায় বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর কাশ্মীরে যে প্রথম সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, তখনই তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা উচিত ছিল। আজকের সন্ত্রাসবাদ সেই দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকেই বিকৃত রূপে উদ্ভূত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “১৯৪৭-এ, যখন ভারত মাতাকে তিন টুকরো করা হল, সেই রাতেই কাশ্মীরের মাটিতে প্রথম সন্ত্রাসী হামলা হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তথাকথিত মুজাহিদিনদের মাধ্যমে এক অংশ দখল করে নেওয়া হয়। সেইদিনই তাদের মৃত্যু-গহ্বরে ছুঁড়ে ফেলা উচিত ছিল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, তৎকালীন দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার বল্লভভাই প্যাটেল চেয়েছিলেন, যতক্ষণ না পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (POK) পুনরুদ্ধার হচ্ছে, ততক্ষণ সেনাবাহিনী যেন অভিযান বন্ধ না করে। কিন্তু সেই পরামর্শ কংগ্রেস সরকার মানেনি বলে অভিযোগ করেন মোদী।
তিনি বলেন, “সেই সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, আজ এই সন্ত্রাসের চেহারা এমন ভয়াবহ হত না। আজ পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, তা সেই দিনের সন্ত্রাসেরই বিকৃত প্রতিচ্ছবি।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেন, “ভারতীয় সেনা সবসময় পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। পাকিস্তান বুঝে গিয়েছে, সরাসরি যুদ্ধ করে ভারতকে হারানো সম্ভব নয়। তাই তারা সন্ত্রাসকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি কোনও প্রক্সি যুদ্ধ নয়, এটি পাকিস্তানের স্পষ্ট যুদ্ধনীতি।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। এটি শুধুমাত্র সীমান্ত পারের সমস্যা নয়, এটি আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত।”
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।

