কৈলাসহর, ২০ মে: কৈলাসহর মনু নদীর বাঁধ সংস্কার কাজের গতি ও গুনগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা। বিধায়কের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল কাজের গুণগত মান সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। কৈলাসহরের মনু নদীর পাড়ের বাঁধ সংস্কারের কাজ খুবই ধীর গতিতে চলছে । বাঁধের কাজের গুনগত মান খুবই নিম্নমানের। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গাইডলাইন মেনে কাজ হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন কৈলাসহরের বিধায়ক বীরজিত সিনহা।
দীর্ঘ প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে কৈলাসহরের বিভিন্ন এলাকায় মনু নদীর পাড়ের বাঁধের কোনো ধরনের সংস্কার কাজ না হওয়ায় বাঁধ বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে কৈলাসহরবাসীরা বাঁধ সংস্কারের দাবি করার পর অবশেষে বিগত এক মাস পূর্ব থেকে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি বাঁধের প্রস্থ বাড়ানো হচ্ছে এবং উচ্চতা আরও পাঁচ ফুট বাড়ানো হচ্ছে। কৈলাসহরের কাউলিকুড়া, সোনামুখি, গৌরনগর, কামরাংগা বাড়ি, ছনতৈল, দূর্গাপুর, সোনামারা, কিনাইরছড়, গোবিন্দপুর, বৌলাপাশা, লক্ষীপুর, সফরিকান্দি, লাটিয়াপুড়া, রাংগাউটি, দেবীপুর, মাগুরুলী ইত্যাদি এলাকায় মনু নদীর পাড়ের বাঁধ প্রায় চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শুরুর প্রথম থেকেই কাজের দুর্নীতি শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে আসছিলেন। গ্রামবাসীরা স্থানীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে লিখিত ভাবে এবং মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানানোর পরও দপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া হয়নি। দপ্তরের উপর আস্থা হারিয়ে অনেকে স্থানীয় বিধায়ক বীরজিত সিনহার দারস্থ হয়েছিলেন। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বিধায়ক বীরজিত সিনহার নেতৃত্বে পাঁচজনের এক প্রতিনিধি দল মনু নদীর পাড়ের বাঁধ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করতে যান।
প্রতিনিধি দলে বিধায়ক বীরজিত সিনহার সাথে ছিলেন গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মো: বদরুজ্জামান, গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নুমান আলী, নূরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রুনু মিঞা, কংগ্রেস নেতা চন্দ্রশেখর সিনহা। উনারা কৈলাসহর শহরের দূর্গাপুর, সোনামারা, পূর্ব দূর্গাপুর, কামরাংগা বাড়ি এলাকায় মনু নদীর পাড়ের বাঁধ সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন । কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যায় প্রতিনিধি দলের। পুরনো বাঁধের উপর মর্জিমাফিক মাটি ফেলা হচ্ছে। ভারী মেশিন দিয়ে মাটি ভাইব্রেটিং কিংবা মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে না। কাজের ওয়ার্ক অর্ডারে বাঁধ পাঁচ ফুট বাড়ানোর কথা থাকলেও কোথাও এক ফুট কিংবা কোথাও হাফ ফুট বাড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া বাঁধের প্রস্থততা বাড়ানোর কথা থাকলেও প্রস্থততা বাড়ানো হচ্ছে না। কাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে। যে এজেন্সি বাঁধ সংস্কারের কাজ পেয়েছে উনারা দুইটি গাড়ি দিয়ে মাটি ফেলছে।

