জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানে অস্ত্র-গুলি সহ দুই জঙ্গি সহচর গ্রেফতার

শ্রীনগর, ১৯ মে : জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় দুই জঙ্গি সহচরকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। সোমবার এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়েছে।

শোপিয়ান জেলা পুলিশ এক্স-এ জানিয়েছে, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে শোপিয়ান এসওজি, সিআরপিএফ-এর ১৭৮ ব্যাটালিয়ন এবং সেনাবাহিনীর ৩৪ আরআর-এর যৌথ নাকা চেকপয়েন্টে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তল্লাশির সময় তাদের কাছ থেকে চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি পিস্তল, ৪৩টি তাজা কার্তুজ এবং অন্যান্য সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।”

জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে সন্ত্রাসবাদ, তাদের ওভারগ্রাউন্ড কর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে যৌথ বাহিনী। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত সপ্তাহে শোপিয়ান ও পুলওয়ামা জেলায় টানা দুটি অভিযানে ছয়জন জঙ্গি নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন লস্কর-ই-তইবা-র অপারেশনাল কমান্ডারও ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বাইসারান ময়দানে ধর্মের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষকে আলাদা করে ২৬ জন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছিল লস্কর জঙ্গিরা। এর পরেই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে, বিশেষ করে লাহোরের কাছে মুরিদকে, কোটলি ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে জঙ্গি ঘাঁটির উপর নির্ভুল নিশানাযুক্ত হামলা চালায়।

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান এলওসি ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নির্বিচারে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। এই গোলাবর্ষণে পুঞ্চ, রাজৌরি, বারামুলা ও কুপওয়ারা জেলায় ২০০-রও বেশি ঘরবাড়ি ও দোকান ধ্বংস হয়।

এছাড়া, শত শত সীমান্তবাসী নিজেদের ঘর, গবাদি পশু ও চাষের জমি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এখনো তারা পুরোপুরি গ্রামে ফিরতে পারেননি, কারণ সীমান্তবর্তী এলাকায় অকার্যকর মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে সেনাবাহিনী।

এরই মধ্যে ১২ মে ভারতের এবং পাকিস্তানের দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেলস অফ মিলিটারি অপারেশনস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। এর পর থেকে সীমান্তে গোলাগুলি থেমে আছে। তবে ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি কেবলমাত্র পাকিস্তান তার মাটি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চালাতে না দিলে তবেই টিকে থাকবে।