নয়াদিল্লি, ১৮ মে: বহুজন সমাজ পার্টির সর্বভারতীয় সভানেত্রী মায়াবতী রবিবার এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাঁর ভাতিজা আকাশ আনন্দকে দলের রাষ্ট্রীয় প্রধান কো-অর্ডিনেটর পদে নিযুক্ত করেছেন।মদলীয় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি বিএসপি-র সংগঠন পুনর্গঠনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
সংগঠনের নবগঠন প্রক্রিয়ায় মায়াবতী দেশকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য একজন করে রাষ্ট্রীয় কো-অর্ডিনেটর নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। এই তিনজন কো-অর্ডিনেটর সরাসরি আকাশ আনন্দের অধীনে কাজ করবেন। তিনি সারা দেশের সংগঠন পরিচালনা ও সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন।
বিএসপি নেত্রী আশাবাদী, তাঁর ভাতিজা আকাশ আনন্দ এবার দলের আদর্শিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করবেন এবং দলের ও আন্দোলনের স্বার্থে সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
এই প্রসঙ্গে বিএসপি-র বরিষ্ঠ নেতা বিজয় প্রতাপ বলেন, “সারা দেশকে তিনটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রতিটি সেক্টরের জন্য একজন করে রাষ্ট্রীশ কো-অর্ডিনেটর নিযুক্ত করা হয়েছে। আকাশ আনন্দকে রাষ্ট্রীয় প্রধান কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সারা দেশের কর্মীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্তে উদ্দীপনা ও উত্সাহ বেড়েছে। আকাশ আনন্দের নেতৃত্বে সংগঠন অবশ্যই আরও শক্তিশালী হবে।”
প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই মায়াবতী আকাশ আনন্দকে দলের মূল দায়িত্বে পুনর্বহাল করেন। গত ২৯ এপ্রিল, তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ পোস্ট করে দলীয় কর্মীদের কাছে আকাশকে সমর্থন ও উৎসাহ দেওয়ার আবেদন জানান।
সেই পোস্টে মায়াবতী লেখেন, “বিএসপি-র কিছু সদস্য মাঝে মাঝে অজ্ঞানতা, অতিরিক্ত উৎসাহ, অসতর্কতা অথবা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হয়ে দায়িত্বচ্যুত হন কিংবা গুরুতর ক্ষেত্রে বহিষ্কৃত হন। পরে যদি তাঁরা অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চান, তবে দল ও আন্দোলনের স্বার্থে তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এটাই দলের শুরু থেকেই রীতি।”
আকাশ আনন্দের প্রত্যাবর্তন নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “বহুজন সমাজের কিছু স্বার্থান্বেষী ও বিক্রয়যোগ্য ব্যক্তি, যারা নিজেদের দল গড়ে বিএসপি-র ভোট ভাগ করতে চায়, তারাই মিডিয়ায় তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।”

