অপারেশন সিন্দুরকে ওসামা বিন লাদেন হত্যার সঙ্গে তুলনা করলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

নয়াদিল্লি, ১৭ মে: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় শনিবার ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সঙ্গে মার্কিন সেনার হাতে ওসামা বিন লাদেনের হত্যার ঘটনার তুলনা টেনে আন্তর্জাতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করলেন। তিনি বলেন, ভারতের এই আক্রমণ ছিল আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গভীরে পরিচালিত সুনির্দিষ্ট হামলা, যা সরাসরি সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করেছে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, “২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে ২০১১ সালের ২ মে মার্কিন বাহিনী যেভাবে নিঃশেষ করেছিল, ভারতও ঠিক তেমনি করেছে।”
উপরাষ্ট্রপতি কোনও নাম না নিলেও তাঁর বক্তব্য স্পষ্টতই ওসামা বিন লাদেনকে ঘিরেই ছিল। তিনি বলেন, “ভারত করেছে, এবং করেছে বিশ্বের সামনে। এই অভিযান এক নতুন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড স্থাপন করেছে। শান্তির চেতনাকে বজায় রেখেই সন্ত্রাসবাদকে আঘাত করা হয়েছে।”
উপরাষ্ট্রপতির মতে, এই অভিযান এতটাই সুনির্দিষ্ট ছিল যে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বা-র শক্ত ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, “পহেলগামে যেভাবে ২৬ নিরীহ মানুষ প্রাণ হারালেন, তা মুম্বই হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহার থেকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একটি বার্তা দেন। সেই বার্তা ছিল খালি বুলি নয়— আজ বিশ্ব তা বুঝতে পারছে।”
জগদীপ ধনখড় দাবি করেন, ভারতের এই পদক্ষেপ বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একটি নতুন যুগের সূচনা করল। তিনি বলেন, দেশ এখন নির্ভয়ে ও নির্দ্বিধায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে সক্ষম এবং ভবিষ্যতে কোনও হুমকিকে সহ্য করবে না।
উল্লেখ্য, ৭ মে শুরু হওয়া অপারেশন সিন্দুর ছিল ২২ এপ্রিল পহেলগামে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া, যেখানে ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হন।