আগরতলা, ১৫ মে : অবিলম্বে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদ পূরণ এবং অফার বিলির পদ্ধতি বাতিলের জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে বামপন্থী যুব সংগঠন। আজ মেলার মাঠস্থিত ছাত্র যুব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে থাকা শূন্য পদের তথ্য তুলে ধরে অবিলম্বে তা পূরণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিন নবারুণ দেব বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের আমলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়েছে। গোটা ত্রিপুরা বেকারত্ব এবং মাদকের কড়ালগ্রাসের দিকে তরুণ প্রজন্মের ধ্বংসের দিকে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহা জনসম্মুখে প্রত্যেক জেলায় নেশা মুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় তিনি নেশার সাথে জড়িত মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে গোড়া থেকে তা বিনাশ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন, বলে প্রশ্ন ছুঁড়েন তিনি। সাথে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন বলতে কিছুই নেই। বর্তমানে কাউকে আটক করতে ত্রিপুরা পুলিশদের ভেবে চিন্তে কাজ করতে হয়।
এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যে ২১৬৭টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখনো পযন্ত প্রধানশিক্ষক নেই। ওই বিদ্যালয়গুলে প্রধান শিক্ষক ছাড়া পরিচালনা হচ্ছে। তাছাড়া, বিধানসভার তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যে ৫১ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। এমনকি, ২০১৭ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে শেষ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হয়েছিল। তাছাড়া, হাসপাতালেগুলোতি চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের শূন্যপদ করা হচ্ছে না।
পাশাপাশি, এদিন তিনি পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার জবাবে গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। নির্ভুল ও নিখুঁত সেই হামলার পর সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা দেশকে অপারেশন সিঁদুরের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রী বিজয় শাহকে সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে কুমন্তব্য করেছেন। এর তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানিয়েছে বাম যুব ছাত্র সংগঠন।

