নয়া দিল্লি, ১০ মে: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে টেলিফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। আলোচনার পরে ডঃ জয়শঙ্কর এক্স-এ (পূর্বতন টুইটার) লেখেন, “আজ সকালে মার্কো রুবিওর সঙ্গে কথা হয়েছে। ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়েই পরিমিত এবং দায়িত্বশীল ছিল, এবং এখনও তা-ই রয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানান, রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের উপর গুরুত্ব দেন এবং সরাসরি কূটনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিতে গঠনমূলক সংলাপের জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।
রুবিও একইসঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন এবং সংযম এবং কূটনীতি-র ওপর জোর দেন।
এই আলোচনাগুলি এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বহু বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দুই দেশের সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলিকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে, যার মধ্যে বেসামরিক এলাকাও রয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, টানা দ্বিতীয় রাতেও পাকিস্তানের তরফে চালানো ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারত সফল প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং কৌশলগত পাল্টা হামলা চালায়।
সূত্র অনুযায়ী, ভারত চারটি গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে (নূর খান, মুরিদ, রফিকি এবং একটি গোপন স্থানে) নির্ভুলভাবে হামলা চালিয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। ইসলামাবাদ, লাহোর সহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানও পাল্টা হামলায় ভারতীয় অবস্থানের দিকে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার একটি পশ্চিমাঞ্চলে ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা হয়।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম ভ্যালি ও শিয়ালকোটে ভারত রাতারাতি পাল্টা হামলা চালায়। সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ও ড্রোন উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি। বিশেষ করে জম্মু অঞ্চলের কাছে ড্রোন উৎক্ষেপণ চক্রকে নিশানা করা হয়েছে।

