ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার আবহে আসাম সরকার প্রশাসনিক খরচ হ্রাসের সিদ্ধান্ত

গুয়াহাটি, ১০ মে: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার আবহে আসাম সরকার প্রশাসনিক খরচ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার জানান, সাময়িকভাবে সেমিনার, সরকারি অনুষ্ঠান ও বিদেশ সফরের খরচ বন্ধ রাখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে আমরা সেমিনার, অনুষ্ঠান ও অন্যান্য সরকারি কার্যক্রমে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সময়কালে কোনও মন্ত্রী বা সরকারি আধিকারিক বিদেশ সফরে যাবেন না সরকারী খরচে।”

তিনি আরও জানান, সরকার নতুন গাড়ি কেনা বন্ধ রাখবে, শুধুমাত্র পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য এই নিয়মের ব্যতিক্রম থাকবে। বড় মাপের বৈঠক ও অনুষ্ঠান এড়িয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মিটিং করার উপর জোর দেওয়া হবে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ডিব্রুগড় বিমানবন্দরের নামকরণ করা হবে প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ভারতরত্ন ডঃ ভূপেন হাজারিকার নামে। তিনি জানান, “আসাম সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিব্রুগড় বিমানবন্দরকে ‘ডঃ ভূপেন হাজারিকা বিমানবন্দর’ নামে উৎসর্গ করা হবে। আগামী মাসে বিধানসভায় একটি দিনব্যাপী বিশেষ অধিবেশন ডেকে এই সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেওয়া হবে। চা শিল্পের ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্য সরকার একটি কল্যাণমূলক প্রকল্পও ঘোষণা করেছে। ‘এটি কলি দুটি পাতা’ নামের এই প্রকল্পে আসামের সমস্ত স্থায়ী ও অস্থায়ী চা বাগানের শ্রমিকদের এককালীন ৫০০০ করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

এদিকে গুয়াহাটির লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তা সম্পূর্ণভাবে সচল রয়েছে। তবে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, “বিমানবন্দর সচল রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় যাত্রীদের সময়মতো এসে সমস্ত চেকিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।”
আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত এই বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হবে, নিরাপত্তা চেকিংয়ের জন্য অতিরিক্ত সময় রাখতে হবে এবং নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।