জাতিভিত্তিক জনগণনা’কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস এবং তাঁর সহযোগী ইন্ডি জোট : রাজীব

আগরতলা, ২ মে : বিগত দিনে জাতিভিত্তিক জনগণনা’কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস এবং তাঁর সহযোগী ইন্ডি জোট। কিন্তু মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছবে। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য।

এদিন তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জাতিভিত্তিক তথ্য নিয়মিত জনগণনার অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং লোকসভায় আশ্বাস দিয়েছিলেন যে জাতি অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পরে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করা হয়, যেখানে বহু রাজনৈতিক দল জাতি গণনার পক্ষে মত দেয়। যদিও সেই সময়ের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার সামাজিক-অর্থনৈতিক ও জাতিভিত্তিক সমীক্ষা নামে পৃথক একটি সমীক্ষা করেছে।

তিনি আরও জানান, কিছু রাজ্য স্বতন্ত্রভাবে জাতিভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি স্বচ্ছভাবে হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং তাতে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতি-ভিত্তিক তথ্যকে জাতীয় জনগণনার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

তাঁর কথায়, বিগত দিনে জাতিভিত্তিক জনগণনা’কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস এবং তাঁর সহযোগী ইন্ডি জোট। কিন্তু মোদী সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগনের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, পিছিয়ে পড়া জনগণের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সুযোগ সুবিধা পৌঁছবে। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে ছোট বলে দেখছে না কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার এর তীব্র বিরোধিতা এবং নিন্দা জানিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।