জম্মু, ২৮ এপ্রিল (হি.স.): পহেলগাম হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানালো জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা। দুই মিনিটের জন্য সোমবার নীরবতা পালন করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় এদিন পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাব পাসের পর বিধানসভার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এদিন বলেছেন, “আমি এই মুহূর্তটি রাজ্যের দাবিতে ব্যবহার করব না। পহেলগামের পর, কোন মুখ দিয়ে আমি জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য রাজ্যের মর্যাদার দাবি করতে পারি? মেরি কেয়া এতনি সস্তি সিয়াসত হ্যায়? আমরা অতীতেও রাজ্যের মর্যাদার কথা বলেছি এবং ভবিষ্যতেও তা করব, কিন্তু কিন্তু এটা আমার জন্য লজ্জাজনক হবে, যদি আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে বলি ২৬ জন মারা গেছেন, এখন আমাকে রাজ্যের মর্যাদা দিন।”
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ বলেছেন, “আমরা কেউই এই আক্রমণকে সমর্থন করি না। এই আক্রমণ আমাদের ফাঁপা করে দিয়েছে। আমরা এর মধ্যে আলোর রশ্মি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি, গত ২৬ বছরে, আমি কখনও মানুষকে এই ধরণের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখিনি।” ওমর আব্দুল্লাহ আরও বলেছেন, “এই ঘটনা পুরো দেশকে প্রভাবিত করেছে। আমরা অতীতে এমন অনেক হামলা দেখেছি… বৈসরনে ২১ বছর পর এত বড় আকারের হামলা চালানো হয়েছে, আমি জানতাম না কিভাবে নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইব, পর্যটকদের নিরাপদে ফেরত পাঠানো আমার কর্তব্য ছিল। আমি তা করতে পারিনি। ক্ষমা চাওয়ার ভাষা আমার কাছে নেই।”
জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর চৌধুরী বলেছেন, “এই বিধানসভা দ্ব্যর্থহীনভাবে এই জঘন্য, কাপুরুষোচিত কাজের নিন্দা জানায়, যার ফলে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই সদন ক্ষতিগ্রস্তদের এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে। এই সদন শহীদ সৈয়দ আদিল হুসেন শাহের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানায়, যিনি পর্যটকদের বাঁচানোর সাহসিকতার সাথে চেষ্টা করার সময় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।”

