পঞ্চকুলায় ভগবান পরশুরাম জয়ন্তী মহোৎসবে বিশেষ নজর কাড়লেন বিপ্লব কুমার দেব

আগরতলা, ২৭ এপ্রিল:ভগবান পরশুরাম জয়ন্তী উপলক্ষে আজ হরিয়ানার পঞ্চকুলার তাউ দেবীলাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশাল মহোৎসব। রাজ্যসভার সাংসদ কার্তিকেয় শর্মার উদ্যোগে আয়োজিত এই মহোৎসব রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে আগত হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এক বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়। স্টেডিয়াম জুড়ে ধ্বনিত হয় ভগবান পরশুরামের জয়ধ্বনি।
এই মহোৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ওঠেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি তার বক্তব্যে ভারতের সনাতন ঐতিহ্য, জাতীয়তাবাদ এবং প্রতিরক্ষা নীতির গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি তুলে ধরেন।
বিপ্লব দেব বলেন, “ভারত কখনোই প্রথম আক্রমণ করে না, তবে যদি কেউ ভারতের দিকে আক্রমণের চেষ্টা করে, তাহলে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণ মিলে উপযুক্ত প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত থাকে।” তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, “সীমান্তে যদি দেশের একজন সেনার গলা কাটা হয়, তবে অপরাধীদের পাঁচজনের গলা কেটে আনা হবে।”
পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানকে এমন শিক্ষা দেবেন যাতে ভবিষ্যতে পাকিস্তান ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকাতেও সাহস না পায়। বিপ্লব দেব আরও বলেন, ভারতের মধ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও, সকল সম্প্রদায় ভারতীয় পরিচয়ে ঐক্যবদ্ধ — আর এটাই ভারতের প্রকৃত শক্তি।
বিপ্লব দেব তার বক্তব্যে হরিয়ানার বর্তমান নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের নেতৃত্ব যথাযথভাবে কাজ করছে এবং এর ফলে হরিয়ানার অগ্রগতি নিশ্চিত হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও আয়োজক কার্তিকেয় শর্মা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিনোদ শর্মা, কালকা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শক্তি রানি শর্মা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী রামবিলাস শর্মা। অনুষ্ঠানে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নাইয়াব সাইনি সহ রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রী, বিধায়ক এবং ধর্মীয়-সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
কার্তিকেয় শর্মা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভগবান পরশুরাম কেবলমাত্র ব্রাহ্মণ সমাজের নয়, বরং ৩৬টি জাতির দেবতা। তিনি সবাইকে ভগবান পরশুরামের শিক্ষা ও জীবনাদর্শ নিজেদের জীবনে অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
ভগবান পরশুরাম জয়ন্তী উপলক্ষে তাউ দেবীলাল স্টেডিয়ামে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। সুসজ্জিত মঞ্চ, মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, জলপান ও বসার সুব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ব্রাহ্মণ সমাজের গুণীজন, সাধু-সন্ত এবং সমাজসেবীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান আরও গৌরবময় হয়ে ওঠে।