আগরতলা, ২৪ এপ্রিল: ৩৭০ ধারা বাতিলের পরও জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীর সমস্যা শেষ হয়নি। তারপরও জনসম্মুখে সরকার নিজেদের সাফল্যের সুর চড়িয়েছেন। তাতে, জনগণকে আরও বিপদের মুখে ঢেলে দেওয়া হয়েছে। আজ কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
এদিন শ্রী সরকার বলেন, কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনা বর্বরোচিত এবং অমানবিক। ওই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ২৮ জনের মৃত্যু এবং ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এমনকি, জঙ্গিদের নিরস্ত্র করার দুঃসাহস দেখানোর পরিণাম হিসাবে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় কাশ্মীরের বাসিন্দা সইদ আদিল হুসেন শাহের শরীর। পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের টাট্টু ঘোড়ায় চড়ানোই ছিল তাঁর কাজ। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।এদিন তিনি কেন্দ্র সরকারের নিকট হামলার দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবু জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ওই হামলায় নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ভারত সরকারকে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা বড় ঘটনা। কেন্দ্র সরকারের উদাসীনতার কারণে ওই আত্মঘাতী আক্রমণের শিকার হয়েছিল প্রায় ৪০ জন জওয়ান। তারপর কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা বড় ঘটনা। এদিন তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র সরকার দাবি করেছিল জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সন্ত্রাসবাদীদের সমস্যা সুরাহা হয়েছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে জম্মু কাশ্মীরে প্রতিমাসেই সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা। যদি সমস্যা সমাধানই হয়ে থাকে তাহলে এতো বড়ো ঘটনা ঘটলো কিভাবে, প্রশ্ন করেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তাঁর কটাক্ষ, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীর সমস্যা শেষ হয়নি। কিন্তু সরকার নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে জনগণের ক্ষতি হচ্ছে। জনগণকে আরও বিপদের মুখে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে।

