সাত সকালের বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর ও গ্রামাঞ্চল, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন জেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ২১ এপ্রিল :
গতকাল রবিবার রাতে মুষলধারে বৃষ্টিতে আগরতলা শহরের একাধিক রাস্তায় জল জমে যায়। যদিও দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় জল না থাকলেও, ভোর সাড়ে ছটা নাগাদ এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে অফিস লাইন এলাকায়। বৃষ্টির মধ্যে একটি বিশাল গাছ উপড়ে পড়ে উমাকান্ত স্কুল সংলগ্ন বয়েজ হোস্টেলের প্রায় পঞ্চাশ ফুট প্রাচীর ভেঙে দেয়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। দ্রুত উদ্যোগ নেয় আগরতলা পৌরনিগম ও বন দপ্তর। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাছটি রাস্তা থেকে সরিয়ে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।

এদিকে, লাগাতার বৃষ্টির কারণে জিবি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এতে রোগী ও চিকিৎসক উভয় পক্ষই সমস্যার মুখে পড়েন।

শুধু রাজধানী নয়, বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে গোমতি জেলার উদয়পুরেও। জেলা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগ কাদা ও জলের মধ্যে একাকার হয়ে ওঠে। এর ফলে রোগীদের চরম ভোগান্তি শুরু হয়। হাসপাতাল প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।

অন্যদিকে, দক্ষিণ জেলার একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে রবিবার রাত থেকেই। সাব্রুম মহকুমাসহ গোটা জেলা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায়। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, বিলোনিয়া হাসপাতালেও মেডিসিন বিভাগও জলমগ্ন হয়ে যায়, এর ফলে বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ জনগণকে।

এদিকে, অল্প বর্ষণেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রতনপুর এডিসি ভিলেজের গোবিন্দ ত্রিপুরা পাড়া অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবৈজ্ঞানিকভাবে জাতীয় সড়ক নির্মাণের ফলেই এমন দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা উঁচু করে নির্মাণ করায় বৃষ্টির জল প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং কেন্দ্রের চারপাশে জল জমে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে।

স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা নির্মাণের আগে এই পরিস্থিতি দেখা যেত না। ফলে দীর্ঘ দু’বছর ধরে শিশুদের পড়াশোনা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, এবছর বর্ষার মরশুমে দপ্তর ও প্রশাসন এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কী পদক্ষেপ নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।