উত্তর কলমচৌড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিশেষ গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত, বেনিফিশিয়ারিদের উন্নয়ন ও বাল্যবিবাহ রোধে গুরুত্বারোপ

বক্সনগর, ২১ এপ্রিল :

বক্সনগর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত উত্তর কলমচৌড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আজ বেলা ১১টা নাগাদ টাউন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ গ্রাম সভা। এই সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বাস্তবায়িত সরকারি প্রকল্পসমূহের খতিয়ান পেশ এবং আগামী অর্থবর্ষের পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বক্সনগর আর ডি ব্লকে প্রতিদিন তিনটি করে বিশেষ গ্রাম সভার আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন আর ডি আধিকারিক সঞ্জীব পাল এবং সংশ্লিষ্ট লাইন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এই উদ্যোগে বিশেষ সহায়তা করছেন স্থানীয় বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যবৃন্দ।

আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন এমএলএ তোফাজ্জল হোসেন, ভিডিও সঞ্জীব পাল, জেলা পরিষদ সদস্য সঞ্জয় সরকার, রুমা দাস, বাবলি দেব, প্রভারি কিরূদ সরকার, পঞ্চায়েত প্রধান সাবিত্রী দাস, উপপ্রধান মিজানুর রহমান সহ স্বাস্থ্য, আইসিডিএস, বিদ্যুৎ, ডিডাব্লিউএস ও পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিববৃন্দ।

সভায় ভিডিও সঞ্জীব পাল জানান, উত্তর কলমচৌড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বেনিফিশিয়ারিদের জন্য রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, রেগার আওতায় জমি সমতলকরণ, পুকুর খনন সহ একাধিক প্রকল্পের তথ্য সংবলিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আগামী অর্থবর্ষে আরও ঘর বরাদ্দ ও বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

তিনি জানান, বক্সনগর ব্লকের অধীনে এখন পর্যন্ত ৪৪৪৭টি ঘরের জিও-ট্যাগিং সম্পন্ন হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সম্ভব হয়নি। এই প্রসঙ্গে তিনি “সাবকা সাথ, সাবকা বিকাশ”-এর মন্ত্রে সরকারের অঙ্গীকার পুনরায় তুলে ধরেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, সভায় বাল্যবিবাহ রোধে কঠোর বার্তা দেন ভিডিও সঞ্জীব পাল। তিনি জানান, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের এবং ২১ বছরের কম বয়সী ছেলের বিবাহ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোন ধর্মীয় পুরোহিত বা মৌলবী এই ধরনের বিবাহ সম্পাদন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমাজের অভিশাপ থেকে রক্ষা করতে সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সভায় বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গুণকীর্তন করেন এবং বেনিফিশিয়ারিদের আরও সুবিধা কীভাবে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সরকার ও জনগণের মিলিত সহযোগিতাই আগামী দিনে বক্সনগর বিধানসভাকে উন্নয়নের মডেল রূপে গড়ে তুলবে।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, আজকের সভায় উপস্থিতির হার ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই ধরনের সভাকে আরও কার্যকর করে তুলছে বলে মনে করছে প্রশাসন।