নিলামবাজার (অসম), ১৫ এপ্রিল (হি.স.) : বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর প্রথমদিন শ্রীভূমি জেলার অন্তর্গত নিলামবাজার থানাধীন দত্তগ্রামে অবস্থিত ভৈরববাড়ি মন্দিরে সন্দেহজনক গো-মাংস উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মন্দিরে গো-মাংস রাখার অভিযোগে একজনকে নিলামবাজার থানার পুলিশ আটক করেছে।
ঘটনা আজ পয়লা বৈশাখ মঙ্গলবারের। এদিন সকালে এলাকার কতিপয় ব্যক্তির নজরে পড়ে ভৈরববাড়ি মন্দিরে এক খণ্ড মাংস। বিষয়টি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লে কাতারে কাতারে জমায়েত হতে থাকেন মানুষ। ঘটনার খবর পেয়ে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নিলামবাজার থানার ওসি। স্পর্শকাতর খবরটি যায় জেলা পুলিশের সদর দফতরে। হাজির হন জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিক।
এদিকে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ভেটেরিনারি বিভীগের আধিকারিক ও চিকিৎসকদের সহযোগিতায় সন্দেহজনক গো-মাংস উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি চলে পুলিশি তদন্ত। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় শিলুয়া গ্রামের জনৈক ফকর উদ্দিনের নাম সংবলিত আধার এবং প্যান কার্ড উদ্ধার করে। আধার ও প্যান কার্ড উদ্ধারের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে ফকর উদ্দিন জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশ ফকর উদ্দিনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। শুরু হয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ।
ইত্যবসরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দক্ষিণ করিমগঞ্জ মণ্ডল বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ দাস, উপ-সভাপতি দীপঙ্কর দাস, নিলামবাজার জেলা পরিষদ আসনে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ রায় সহ অন্যরা। তাঁরা সনাতনীদের ধর্মীয় আবেগে আঘাত হানাদারী প্রকৃত দোষীদের শীঘ্র গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে নিলামবাজার জেলা পরিষদ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব দাস ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তি ও সম্প্ৰীতি বজায় রাখার পাশাপাশি তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

