শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে, স্বীকারোক্তি তৃণমূল নেতার

বাঁকুড়া, ১২ এপ্রিল (হি.স.) : শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং তা করেছেন তৃণমূলের তৎকালীন সাংসদ ও বিধায়ক। এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা সোনামুখীর উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।

শনিবার সোনামুখীতে আয়োজিত একটি তৃণমূল সভায় সোমনাথবাবু প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক দীপালি সাহা। তিনি দাবি করেন, এই দুর্নীতির প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে এবং মোটা অঙ্কের টাকা তোলা হয়েছিল। এই স্বীকারোক্তিতে শুধু জেলায় নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও আলোড়ন পড়েছে। সোমনাথবাবু বলেন, তাঁরাও স্বীকার করছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সেই সময় সোনামুখীতেও টাকা তোলা হয়েছিল। যারা তুলেছেন, তারা এখন বিজেপিতে। একই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সেই ছেলেগুলোকেও একবার প্রেস মিটে বসানো হবে। এদিনের সভায় তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বাম ও বিজেপির ষড়যন্ত্রের কারণে। পাশাপাশি, সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকে উদ্দেশ্যে করে কটাক্ষ করেন তিনি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দিবাকরবাবু বলেন, যদি সৌমিত্র খাঁ চাকরি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকেন, তাহলে তৃণমূল সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেন? আসলে এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। আর যদি থেকে থাকে, তবে দায় তৃণমূলেরই।

এ প্রসঙ্গে দিবাকরবাবুর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে সোমনাথবাবু বলেন, এখন অস্ত্র রাখার হুমকি দিচ্ছে। ২০২৬ সালে ভোট চাইতে গেলে মা-বোনেরা বঁটি-কাটারি নিয়ে তেড়ে যাবে। পাল্টা জবাবে দিবাকর বলেন, ২০২৬-এর নির্বাচনে দেখা যাবে কে কার দিকে বঁটি-কাটারি নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে।