হাফলং (অসম) ৮ এপ্ৰিল (হি স) উত্তর কাছার পাৰ্বত্য স্বশাসিত পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে পাস হয়ে যায় মঙ্গলবার। ত্রিশ সদস্য বিশিষ্ট উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে বিরোধী কোনও সদস্য না থাকায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট সর্বসন্মতি ক্রমে পাস হয়ে যায়। সোমবার উত্তর কাছার পাৰ্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অর্থ বিভাগের দায়িত্বপ্ৰাপ্ত কাৰ্যনিৰ্বাহী সদস্য দনপাইনন থাওসেন ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট দাখিল করেছিলেন পরিষদের সদনে। এবং সোমবার পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে এই বাজেট কোনও বিতর্ক ছাড়াই সৰ্বসন্মতি ক্ৰমে পাস হয়ে যায়।
উত্তর কাছার পাৰ্বত্য স্বশাসিত পরিষদের বাজেট নিয়ে বিশেষ অধিবেশনের পর উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কাৰ্যবাহী সদস্য দেবোলাল গাৰ্লসা সাংবাদিকদের বলেন সোমবার উত্তর কাছার পাৰ্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধীনে থাকা অর্থ বিভাগের দায়িত্বপ্ৰাপ্ত কাৰ্যনিৰ্বাহী সদস্য দনপাইনন থাওসেন ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট দাখিল করেছিলেন পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে। এবং সোমবার সদনে সৰ্বসন্মতি ক্ৰমে বাজেট পাস করা হয়। তিনি বলেন গত বছরের বাজেট থেকে এবারের বাজেট ৫ শতাংশ অর্থ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাজেটে উত্তর কাছার পাৰ্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নৰ্মাল সেক্টরের কৰ্মচারীদের ডিএ ৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। দেবোলাল গাৰ্লসা বলেন বিগতন বছরে উত্তর কাছার পাৰ্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব সংগ্ৰহ হয়েছিল ১৪০ কোটি টাকা।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ১৪০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব সংগ্ৰহের লক্ষ্যমাত্ৰা ধার্য্য করা হয়েছে আর এই রাজস্ব সংগ্রহের অর্থ ব্যয় করা হবে ডিমা হাছাও জিলাত জমির ডিজিটেলাইজেন জরিপের কাজে বলে তিনি জানিয়ে বলেন জেলার পৰ্যটন শিল্প থেকে শুরু করে শিক্ষা এবং ক্ৰীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নের কাজ করা হবে। দেবোলাল বলেন উত্তর কাছাড় পাৰ্বত্য স্বায়ত্ব শাসিত পরিষদের অধীনে থাকা মাৰ্কেট এবং গ্রমোন্নয়ন বিভাগ বিগত দশ পনেরো বছর থেকে অকাৰ্যকরী হয়ে পড়েছিল এবার এই দুটি বিভাগ কাৰ্যকরী করে তুলা হবে যার দরুন গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন বলে মন্ত্যব করে তিনি বলেন ডিমা হাছাও জেলায় বিভিন্ন এলাকা রাস্তা নির্মানের কাজ চলছে এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক কিছু সড়ক নির্মানে টেন্ডার আহ্বান করেছে। দেবোলাল গাৰ্লসা বলেন একটা সময় ডিমা হাছাও জেলার পরিবেশ অশান্ত ছিল যার দরুন উন্নয়ন স্তব্ধ হৈ পরেছিল।
এখন পাহাড়ে শান্তির পরিবেশ ফিরে এসেছে যার দরুন পাহাড়ি জেলাতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী পাঁচ দশ বছর যদি এধরনের উন্নয়নের কাজ চলতে থাকে তাহলে ডিমা হাছাও জেলা এক বৃহৎ পৰ্যটন কেন্দ্ৰ স্থল হিসাবে গড়ে উঠবে বলে মন্ত্যব করেন দেবোলাল গাৰ্লসা।

